খেতে খেতে মোবাইল খাওয়ারের গুরুত্ব কমায়

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বাচ্চা একদম খেতে চায় না…
বাচ্চা কিচ্ছু খায় না, কি করব .....
এখনকার বাবা-মায়েদের সব থেকে বড় অভিযোগ সম্ভবত এটাই যে, তাদের শিশুরা ঠিকমতো খেতে চায় না। শুধু অভিযোগই নয়, বরং এটি চিন্তার বিষয়ও। কিন্তু তাই বলে খাওয়ার সময় শিশুর হাতে মোবাইল ফোন ও যে কেনো ধরনের স্ক্রিন ব্যবহারে বারণ করছেন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা।
ছোটরা নরম মাটির তালের মতো। যেমন আকার দেবেন সে ঠিক সেভাবে বড় হয়ে উঠবে। তাই ছোট থেকে আপনি যেমন দেখাবেন সে তেমনই শিখবে। আপনার পরিবারের ছোট্ট সদস্যের কাছে টিভি কিংবা মোবাইল খুবই আকর্ষণীয় বস্তু। তাই ছোটবেলায় সেগুলির নেশায় শিশুকে বুঁদ করে রেখে কাজ সেরে নেওয়ার চেষ্টা করেন বহু মা। মোবাইল দিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর সময় শুধু খাওয়ার প্রতি আগ্রহই নষ্ট করছি না, বাইরের জগতের সঙ্গে তার যে যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতা তৈরি হতো তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করছি আমরা। মা-বাবাকে মনে রাখতে হবে, খাওয়া কিন্তু এক ধরনের আনন্দদায়ক ব্যাপার। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও আকার-আকৃতির মধ্যেও শেখার, জানার ও বোঝার নানা কিছু রয়েছে। মোবাইল দেখে খাওয়ার সময় এসব কিছু থেকে বঞ্চিত হয় শিশু।

এতে খাওয়ার প্রতি শিশুর আগ্রহ তৈরি হয় না। খাওয়াকে সে একটা দায়িত্ব হিসেবে দেখে। আবার খাবারের পুষ্টিগত প্রভাবের সঙ্গে আমাদের মনের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কী খাচ্ছি, তা যদি জেনে-বুঝে না খাই তাহলে সেই পুষ্টিগত প্রভাব থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায়। এ জন্য মোবাইল দিয়ে শিশুকে এখন থেকেই খাবার খাওয়ানোর চর্চা বাদ দিন। কিন্তু আজকের সুবিধার কথা ভেবে আগামীর জন্য বিপদ ডেকে আনছেন না তো? হয়তো আপনি কাজ সেরে নেওয়ার ফুরসত পাচ্ছেন ঠিকই। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত টিভি বা মোবাইলের নেশা দূর করতে গিয়ে ভবিষ্যতে আপনার কালঘাম ছুটতে পারে। তাই শুরু থেকেই স্থির করুন দিনের মধ্যে ঠিক কতটা সময় তাকে টিভি দেখতে দেবেন।
ব্রিটিশ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খাবার ও ঘুমের সময় মোবাইল দূরে রাখুন। খাওয়া ও ঘুমের সময় মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করেছেন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ চারজন প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা।
তারা আরও জানাচ্ছেন, বাচ্চাকে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার দিন। খাবার শেষ করার সময়ও বেঁধে দিন।খাবার সময় বাচ্চাকে টিভি বা মোবাইলে যেমন ব্যস্ত থাকতে দেবেন না, ঠিক তেমনি আপনি নিজে কিংবা পরিবারের কেউ সে কাজ করবেন না। কারণ, বাড়িই শিশুর জীবনের প্রথম এবং অন্যতম প্রধান শিক্ষালয়।

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News