কাঁথি ধর্ষণ মামলায় এখনও অধরা অভিযুক্ত

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

গত ১ নভেম্বর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নাবালিকা। কিন্তু হঠাৎ আত্মঘাতী কেন? এর পর প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। ১০ জানুয়ারি কাঁথি থানায় শুভদীপ গিরি ও তাঁর বাবা - মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 
কাঁথির ওই নাবালিকার অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন কাঁথির তৃণমূলের ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখে সে। সম্প্রতি সে নাবালিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এর পর নাবালিকা তাঁকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মুছে ফেলতে বলে। অভিযোগ ছবি মোছার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ১৪ অক্টোবর নাবালিকাকে দিঘার একটি হোটেলে নিয়ে যান শুভদীপ। সেখানে নাবালিকাকেকে ধর্ষণ করেন তিনি।
নাবালিকার বাবার অভিযোগ, শনিবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তাতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তাঁর আরও দাবি, এই ঘটনার পিছনে অভিযুক্ত শুভদীপ গিরির হাত রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে নাবালিকার মা জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে মাদকদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনকী ধর্ষণের ভিডিয়ো মোবাইলে ভিডিয়ো আকারে রেকর্ড করে রেখে তা দেখে ব্ল্যাকমেল ও করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কাঁথি নাবালিকা ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই সরগরম রাজনীতি। কারণ, অনেকে এইটাই ভেবেছেন যুবক তৃণমূল নেতা বলেই খবর। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা হওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এদিকে নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি। আজ বুধবার প্রথমার্ধে মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্ৰকাশ করলেন বিচারপতি। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় রীতিমতো বিরক্ত বিচারপতি মান্থা। তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে, কলকাতার এক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে লাগাতার সেই ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠছিল। এই ঘটনায় প্রেক্ষিতে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তদন্তকারীদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এদিন বলেন, “বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে আপনি অভিযুক্ত সম্পর্কে দুর্বলতা দেখাচ্ছেন । আপনার জন্য কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আদালতে এসে পড়ছে। অভিযুক্ত কোথায় আছে আপনি সবটাই জানেন। কিন্তু ইচ্ছে করে আপনি ধরছেন না আপনার গা ছাড়া মনোভাব কোর্টের নজর এড়াচ্ছে না।” তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় বিচারপতি অভিযুক্তকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতারের চেষ্টা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন পুলিশকে ৷ অভিযুক্তদের আইনজীবীর বক্তব্যে যথেষ্ট সন্দেহজনক মনে হয়। কারণ তাঁকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিলেও তিনি তদন্ত এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ৷ গতকাল নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের শুনানি হয়েছে৷

Journalist Name : Aparna Dutta

Tags:

Related News