ভাল খাবার ভেবে যা খাওয়া হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই শরী'রের উপকারে লাগার পরিবর্তে খারাপ করে ।
এই ক্ষেত্রে বলা যায় মুসুর ডাল। এই খাবারটি আদৌ শরীরের পক্ষে ভাল কিনা ত না জেনেই আমরা খেয়ে চলেছি।
১৩ হাজার বছরের আগের থেকে মুসুর ডাল খাওয়া শুরু হয়।
প্রথম গ্রীসে, তারপর ধীরে ধীরে প্যালেস্তাইন, তুর্কি হয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরে মুসুর ডালের নানা পদের জনপ্রিয়তা।কিন্তু এই ডালটি কি শরীরের পক্ষে আদৌ ভাল, এই নিয়ে কয়েক দশক আগে পর্যন্তও চিকিত্সকেরা জানার চেষ্টা করেননি। সম্প্রতি গবেষকরা এই খাদ্যটি নিয়ে gobeshanashuru করেন, তাতে যে তথ্য উঠে আসে, তা বেশ চমকপ্রদ। গবেষণা বলছে মুসুর ডালে রয়েছে অনেক পুষ্টিকর উপাদান, যা একাধিক মারণ রোগ আটকাতে কাজে আসে।
*বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে* :
গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে মুসুর ডালে উপস্থিত ফাইবার, রক্তে মিশে থাকা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে একদিকে যেমন হঠাত্ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে, তেমনি স্ট্রোকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
*হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:* মুসুর ডালে ফাইবার ছাড়াও রয়েছে ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। প্রসঙ্গত, ফলেট শরীরে হমোসিস্টেনিনের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট দীর্ঘদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকে। অন্যদিকে, ম্যাগনেসিয়াম সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে। এমনটা হওয়ার কারণে শুধু হার্ট নয়, শরীরের প্রতিটি ভাইটাল অর্গানের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
*হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:* মুসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে বদ-হজম সহ গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও কমে যায়। শুধু তাই নয়, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রম এবং ডাইভারটিকিউলোসিসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।