৫০ হাজার বছর আগে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং মাধ্যম ছিল উটপাখির ডিম!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর ব্যবহার ছিল ৫০ হাজার বছর আগেও, শুনে অবাক হচ্ছেন? এমনই দাবি করেছে একদল বিজ্ঞানী। তাদের দাবি প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে উটপাখির ডিমের পুঁতি দিয়ে চলত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং। যা এখনও পর্যন্ত বিশ্বের প্রাচীনতম সোশ্যাল নেটওয়ার্ক। বর্তমানে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যার ফলে মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খবর মুহূর্তে জানতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে প্লেইস্টোসিন যুগের আফ্রিকাতে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল উটপাখির ডিমের পুঁতি। তবে  তা ছিল সম্পূর্ণ প্রকৃতি নির্ভর যোগাযোগ ব্যাবস্থা। জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্যা সায়েন্স অফ হিউম্যান হিস্ট্রির একদল বিজ্ঞানী জানিয়েছেন সম্প্রতি আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জায়গাই হাজারেরও বেশি এক বিশেষ ধরণের মালার খোঁজ মিলেছে প্রত্নতাত্বিক খনন কাজের সময়। সেই গুলি গবেষণার পরে জানা গেছে উটপাখির ডিমের পুঁতি দিয়ে তৈরি মালাগুলি। প্রাথমিক ভাবে সেই গুলিকে অলংকার বলে মনে হলেও পরে জানা গেছে সেই গুলি তৎকালীন সময়ে যোগাযোগের বিশেষ মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র তেমনটাই দাবি করছে। গবেষকরা দাবি করছেন, সেই সময় এই পুঁতিই ছিল একমাত্র যোগাযোগের সামাজিক মাধ্যম , বর্তমান সময়ে যেমন সামাজিক মাধ্যম বন্ধুর সংখ্যা দিয়ে বিচার করা হয়, সেই সময় পুঁতির সংখ্যা দিয়ে বিচার করা হতো। উটপাখির ডিমের খোসা দিয়ে তৈরি এই বিশেষ মালা কিভাবে মানুষের মধ্যে যোগাযোগের সুত্র স্থাপন করত তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দুরত্বের মানুষের কাছে এই পুঁতির ব্যাবহার করে বার্তা পাঠানো সম্ভব হতো। প্রত্নতাত্বিক গবেষকদের দাবি পুঁতি গুলি দেখে যা অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে তাতে এটা পরিষ্কার যে সেই গুলি কম করে ৫০ হাজার বছরের পুরনো। বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন এই পুঁতির বিলুপ্তের একটি অন্যতম কারণ। প্রায় ৩০ হাজার বছর আগে বিশ্বের প্রাচীন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ব্যাবস্থা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিলো।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Tags: