আমেরিকায় 5g চালুর ফলে বিপদের আশঙ্কা, বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি একাধিক উড়ান সংস্থাগুলির

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বর্তমানে গোটা বিশ্বই প্রযুক্তি নির্ভর, করোনা মহামারি তাকে খানিকটা প্রাধান্য দিয়েছে। বর্তমান যুগে প্রযুক্তির মূল বিষয় নেটওয়ার্ক, যা 2g 3g 4g পেরিয়ে বর্তমানে 5g তে এসে পৌঁছেছে। আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তি ছাড়া এক মুহূর্তও চলা সম্ভব নয়। কিন্তু নেটওয়ার্কের অত্যাধিক ব্যাবহারের ফলে পরিবেশেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বর্তমানে গোটা বিশ্ব 5g প্রযুক্তির ব্যাবহারকে আপন করে নিচ্ছে কম বেশি, কিন্তু তাতেই বিপদের প্রহর গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আর কিছু দিনের মধ্যেই সর্বত্র ফাইভ জি চালু হয়ে যাবে, আর তার আগেই বিপর্যয়ের সংকেত দিচ্ছে মার্কিন বিমান সংস্থাগুলি। তাদের দাবি বিমান বন্দরের কাছাকাছি ফাইভ জি টেলিকম চালু হলে বিমান উড়ান এবং অবতরণের সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে, ঘটে যেতে পারে বড় বিপদ।
প্রত্যেক বিমান টেক-অফ এবং অবতরণের সময় যাত্রীদের সমস্ত ধরণের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা নেটওয়ার্ক এর ওপর ভিত্তি করে কাজ করে সেই গুলি বন্ধ রাখতে বলা হয়, কারণ তা না হলে বিমানের বিভিন্ন যান্ত্রিক প্যারামিটারগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এই তথ্য মানতে নারাজ, অনেক যাত্রীও বিমানের ভেতরে মোবাইল ব্যাবহার করেন। তবে বর্তমানে ফাইভ জি চালুর ফলে বিমান চলাচলের ওপর খুব গভীর প্রভাব পরতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফাইভ জি সাধারণত সি ব্যান্ডে কাজ করে টাই বিমানের যন্ত্রাংশের প্যারামিটারে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি বিমান চলাচলে বিলম্বের কারণ হতে পারে ফাইভ জি পরিষেবা চালুর ফলে। মার্কিন পরিবহণ সচিব পিট বুটিজিজ সহ একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়েছে বিমান বন্দর কতৃপক্ষগুলি, তাদের দাবি ফাইভ জি চালুর ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে, তাছাড়া বিমানের প্রজুক্তির ওপর প্রভাব তো পরবেই, সেই সাথে বড় কোন দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। ইতি মধ্যেই ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া একাধিক মার্কিন উড়ান বাতিল করেছে বিপর্যয়ের আশঙ্কাই। এয়ার ইন্ডিয়ার সাথে একই পথে হেঁটেছে দুবাই এবং জাপানের উড়ান সংস্থাগুলি। 
ফাইভ জি পরিষেবা চালুর ফলে মেঘের কারণে কমতে পারে বিমানের দৃশ্যমানতা কমতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিমান সংস্থাগুলি। মার্কিন সংবাদপত্র ব্লমবারগের একটি রিপোর্ট সামনে উঠে এসেছে, তাতে বলা হয়েছে বিমানের বিলম্বের কারণে প্রায় ২.২ বিলিয়ান মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে, কারণ ফাইভ জির ফলে দৃশ্যমানতা কমে যাবে যার ফলে পাইলট যান্ত্রিক প্যারামিটারগুলির ওপর ভরসা করেই অবতরণের চেষ্টা করবে আর ফাইভ জির ফলে প্যারামিটারগুলির ওপরেও ঠিক ভরসা করা যাবে না। তবে বিমান সংস্থাগুলির দাবি দেশের সর্বত্র ফাইভ জি চালু হলে কোন রকম সমস্যা নেই, তবে বিমান বন্দরের ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের আশাপাশে ফাইভ জি ব্যাবহার না করাই ভালো বিমানের সুরক্ষার জন্য। 

ফেডারেল অ্যাভিইয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেটরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বন্দরগুলির মধ্যে অধিকাংশতেই এর প্রভাব পড়বে, যার ফলে বেশ কিছু বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty