Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

কম দিনের সময়ে ছুটি কাটাবেন কোথায়!! রইলো তালিকা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

দোল আসতে না আসতেই ছাতা আর সানগ্লাস ছাড়া বাইরে বেরোনো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদ আস্তে আস্তে জানান দিতে শুরু করেছে যে, গরমের আগমন ঘটবে কিছুদিন পরেই। কিন্তু তার আগে কোথাও টানা কয়েকদিনের ছুটি কাটাতে মন চাইছে বেশ কিছু মানুষের। কিন্তু যাবেন কোথায়? কিছুই ঠিক করতে পারছেন না তো?
আসুন আজ আমরা আপনাদের বলে দিচ্ছি গরমে পাকাপাকি ভাবে আসার আগে ঠিক কোথায় কোথায় যাওয়া যেতে পারে মন ঠিক করার জন্য।
>কালিম্পং: তিস্তা নদীর ধারে একটি শৈলশিরার উপর অবস্থিত। মনোরম জলবায়ু ও সহজগম্যতা সহ এটি একটি বিশেষ সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র। উদ্যানপালনে কালিম্পং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নানাপ্রকার অর্কিড দেখা যায়। এখানকার নার্সারিগুলিতে হিমালয়ের ফুল, স্ফীতকন্দ ও রাইজোমের ফলন চলে। কালিম্পং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারী মাস পর্যন্ত। বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে কালিম্পং যাওয়ার গাড়ি পাওয়া যায়। এছাড়া, কলকাতা হয়েও যেতে পারেন। কলকাতা থেকে কালিম্পং এর দূরত্ব ৬৪৬ কি:মি:। 
>বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলা হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগের অন্তর্গত পাঁচটি জেলার অন্যতম একটি জেলা। বাসে করে কলকাতা থেকে সোজা বাঁকুড়া আসা যায়। এছাড়া, সাঁতরাগাছি স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বাঁকুড়ায় আসা যায়। সুন্দর ছোট পাহাড় এবং সবুজে মোড়া এই গ্রাম। শঙ্খ শিল্পটি বাঁকুড়া জেলায় খুব বিখ্যাত। এছাড়াও নানা হস্তশিল্পের জন্য সবসময় এগিয়ে এই বাঁকুড়া।
>দার্জিলিং: পৃথিবীতে খুব কম মানুষ আছেন যারা এই জায়গাটায় যেতে চান না। সবার কাছেই দার্জিলিং ভ্রমণটা স্বপ্নের। তাই গরমে কোথাও যান আর না যান পারলে দার্জিলিং ঘুরে আসুন। এছাড়াও নতুন করে দার্জিলিংয়ের চা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এখনকার চা জগৎবিখ্যাত। এছাড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা, অন্যতম সৃষ্টি । তাই বেরিয়ে পড়ুন। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দার্জিলিংয়ের দূরত্ব ৭৬ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগে আড়াই-তিন ঘন্টা। বিমানবন্দর পুরো গাড়ি ভাড়া নিতে হয়।

>পুরী: পুরী মানেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিশালাকার এক সমুদ্র, জগন্নাথ দেবের মন্দির, সূর্য মন্দির, সূর্য উদয় থেকে অস্ত সব কিছু ই মন কেড়ে নেওয়ার মতো। প্রাচীনকালে পুরী, নীলাচল নামে পরিচিত ছিল। এই শহরে হিন্দুদের অনেক মন্দির ও মঠ আছে। প্রতি বছর রথযাত্রা উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে আসে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ কম খরচেই ঘুরে আসে এই শ্রী ক্ষেত্রে। উড়িষ্যায় রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে পুরীর দূরত্ব মাত্র ৬০ কিমি।
>পুরুলিয়া; পুরুলিয়া জেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুর বিভাগে অবস্থিত একটি জেলা। এখনকার জনবসতি নিতান্তই কম। এই জেলার অধিবাসীরা মূলত বাঙালি ও সাঁওতাল। এখনকার ভাদু - টুসু জগৎজোড়া বিখ্যাত। এছাড়াও এখনকার অযোধ্যা পাহাড় মন ভালো করে দেয় এক নিমেষেই। জঙ্গল আর পাহাড়ের একসাথে মজা নিতে পুরুলিয়া ভালো। এখানে বয়ে গেছে সুবর্ণরেখা,কংসাবতী ও কুমারী তিনটি নদীর স্রোত।  পুরুলিয়ার বিখ্যাত ঝুমুর নাচ দেখতে সন্ধ্যাবেলা চলে যান ডিয়ার পার্কে।
হাওড়া থেকে ট্রেন পাবেন যেটি ছাড়ে রাত ১১টায়। তারপর ফেরার জন্য,আদ্যা – হাওড়া ট্রেন পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে ৪/৫ দিনের জন্য ঘুরে আসুন পুরুলিয়াতে।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Tags:

Related News