কারিপাতার গুনাগুণ-

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কারিপাতা বা কারি পাতার রসে থাকা আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার থাকায় তা ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতেও কারিপাতার জুড়ি পাওয়া ভার। পুরোনো আমলে মানুষরা বলেন নিয়মিত কারিপাতা খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আর আধুনিক বিজ্ঞান বসে যে কারিপাতা অ্যামনেশিয়া নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ দেয়। বাঙালিরা একটু কম ব্যবহার করে বটে, তবে মোটামুটি সারা ভারতে এই পাতার ব্যবহার হয় বেশ ভালোমতোই। ব্যবহার হয় রান্না ঘরে। মানে রান্নায় এই পাতার দিয়ে তার স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলা হয়। তার উপর এর ভেষজ গুণ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় নিয়মিত এই পাতা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
কারিপাতা রোজ খেলে কি কি হয়:
১) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:
আমাদের দেশে যেহারে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে কারি পাতার খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে কারি পাতায় উপস্থিত ফেনলস নামক একটি উপাদান, লিউকোমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২) ডায়রিয়া কম বাসা বাঁধে:
সকাল-বিকাল বাইরে খাওয়ার অভ্যাস আছে নাকি? তাহলে তো বন্ধু পেটকে ঠান্ডা রাখতে নিয়মিত কারি পাতাও থাওয়া উচিত। কেন এমন উপদেশ দেওয়া হচ্ছে, তাই ভাবছেন নিশ্চয়? আসলে নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
৩) ত্বকে সংক্রমন কমায়:
শুনে অবাক হচ্ছেন? হবেন না! কারণ কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।

 ৪) লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:
প্রায় প্রতিদিনই কি অ্যালকোহল সেবন করেন? তাহলে তো নিয়মিত কারি পাতা খাওয়াও মাস্ট! কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ক্ষতিকর টক্সিনের হাত থেকে লিভারকে রক্ষা করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে লিভারের উপর অ্যালকোহলের কুপ্রভাবও পরে কম।
 ৫) ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রণে রাখে:
খাবারে দিয়ে প্রতিদিন কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে যাওয়ার সুযোগ পায় না। 
এছাড়া চুলের যত্নে ভয়ংকর ভাবে ভূমিকা পালন করে কারিপাতা:
১) হেয়ার মাস্ক- কয়েকটা কারি পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক দিন কারি পাতার মাস্ক লাগালে চুল বাড়বে, স্মুদ হবে, ঘন লাগবে দেখতে। 
২) কারি পাতার চা- শুনতে অদ্ভুত লাগলেও কারি পাতার চা চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে। কারি পাতা ফুটিয়ে লেবুর রস ও সামান্য চিনি দিন। টানা এক সপ্তাহ এই চা খেয়ে দেখুন। এই চা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, চুল পাকার হাত থেকেও রেহাই পাবেন। 

৩) চুলে কারিপাতার পেস্ট লাগালে খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কারিপাতা পিষে টকদইয়ে সঙ্গে মিশিয়ে নিন। 
৪) হেনার সঙ্গে মিশিয়ে নিন কারিপাতা। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। এতে পাকা চুল কালো হবে, ভালও হবে।
এছাড়া, এক কাপ কারি পাতার রসে এক চামচ ঘি, অল্প পরিমাণে চিনি এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। শুনে অবাক হচ্ছেন? হবেন না! কারণ কারি পাতায় উপস্থিত শক্তাশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ যে কোনও ধরনের স্কিন ইনফেকশন কামতে দারুন কাজে লাগে।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News