বছর ঘুরে আবার এলো শীত। উত্তর কোনের হিমেল হাওয়া যেন তারই উপস্থিতি জানায়। এই সময় একে একে আলমারি থেকে বেরোচ্ছে লেপ, কাঁথা, কম্বল ও শীতের পোশাক। আর দীর্ঘ কয়েক মাস কানা গুমচিতে পরে থাকা এই পোশাক বার করেই গায়ে দেওয়া যায় না। একটা স্যাঁতেস্যাঁতে ভাব থেকে যায়। তাই জাঁকিয়ে শীত পড়ার আগেই জেনে রাখুন শীতের পোশাকের সঠিক যত্ন নেবার কিছু টিপস।
১। কম্বলের যত্ন-
সারাদিন যতই গরমের পোশাক গায়ে থাকুক বা না থাকুক রাতে শোয়ার সময় গায়ে কম্বল থাকা মাস্ট। তাই প্রিয় এই কম্বলের যত্নে বেছে নিন ড্রাই ওয়াশ। তাই আলমারি থেকে বের করে প্রথম কয়েকদিন রোদে দিন। এছাড়াও কম্বল ঘরে থাকলে অল্প দিনের মধ্যেই তাতে ধুলাময়লা জমে যায়। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন বেশ কড়া রোদে ভালো করে ঝেড়ে পুছে নিতে হবে। প্রয়োজনে কম্বলে কভারও লাগাতে পারেন। এতে কম্বল কম ময়লা হবে ও নিয়মিত কভার ধুয়ে নিলেই চলবে।
২। উল বা পশমের পোশাকের যত্ন-
উল বা পশমের পিশাকে খুব সহজেই ধুলো ময়লা আটকে যায়। আর বার বার ধুলে তা নষ্ট হয়ে যায়। তাই উলের পোশাক কাঁচার সময় জলে কিছুটা লেবুর রস ও ভিনিগার দিন। এছাড়াও ধোয়ার জন্য ডিটার্জেন্টে পরিবর্তে শ্যাম্পু বেছে নিন এবং অবশ্যই ঠান্ডা জলে ধোবেন।
এছাড়াও উলের পোশাক সরাসরি রোদ বা গরম ইস্ত্রিরির সংস্পর্শে আনবেন না।
৩। লেদারের পোশাক-
লেদারের পোশাক সাধারণত বাড়িতে পিরিষ্কার না করে লন্ড্রিতে দেওয়াই শ্রেয়। তাছাড়াও শীত শেষ হলে এটি পলিথিন ব্যাগে মুড়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি বাইরে থেকে আসার পর নরম ব্রশ দিয়ে ঝেড়ে নিন যাতে ধুলোবালি না থাকে। এছাড়াও লেদারের পোশাকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর পালিশ করে নিতে হবে।
৪। ফানেল কাপড়ের যত্ন-
শীতের অন্যানো পোশাকের মধ্যে ফানেল কাপড়ের জামাকাপড় বেশ আরাদায়ক। তাই এই ধরণের পোশাকের যত্নে ডিটার্জেন্টের পরিবর্তে বেছে নিন শ্যাম্পু এবং জলে ভেজানোর ১ ঘন্টা পরেই ধুয়ে নিন। ফানেল কাপড় খুব বেশি কড়া রোদে শুকাবেন না। এতে রঙ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে।