মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে বড়ো ঘোষণা করলো কেরালা হাইকোর্ট

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

একটি শিশুর জন্ম মানে তার মায়েরও নতুন জীবন পাওয়া। তখন মায়েরও শিশুর মতো যত্ন, ভালবাসা ও বিশ্রাম দরকার। সেই সময় মায়ের সঙ্গে কোনও রকম বৈষম্যমূলক আচরণ যাতে না হয় সেইজন্য মাতৃত্বকালীন সুবিধা নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেরালা হাইকোর্ট। কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্সেস- এ চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীকে মাতৃত্বের সুবিধা প্রদানের নির্দেশ দেওয়ার সময় মঙ্গলবার কেরালা হাইকোর্ট জানিয়েছে,নিয়োগকর্তাদের এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে যে মাতৃত্বের কারণে মহিলা কর্মচারীদের পেশাগত কেরিয়ার যেন কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। পাশাপাশি নিয়োগকর্তাদের মহিলা কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য। কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীন সন্তানের জন্মদান এবং লালন পালনের সময় যে সময় ব্যয় হয় সেই সময় যেন তাদের কর্মজগতের কোনো ক্ষতি না হয়।কেরালা ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সাইন্সেস-এ চুক্তির ভিত্তিতে কাজ করার সময় মাতৃত্বের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়া তিন মহিলার দ্বারা একটি পিটিশনের বিবেচনা করেছে আদালত। আদালত পর্যবেক্ষণ করে যে মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য তাদের অনুরোধগুলি প্রাথমিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত সংবিধানের ৪৫ ধারা অনুযায়ী কোনো মালিক তার প্রতিষ্ঠানে কোনো নারী শ্রমিককে সন্তান প্রসবের পরবর্তী আট সপ্তাহের মধ্যে কোনো কাজ করাতে পারবেন না৷ সন্তান প্রসবের কমপক্ষে দুই মাস বা আট সপ্তাহের ছুটির বিষয়টি আইনে বলা আছে যে এটি বাধ্যতামূলক। তবে এটি নিশ্চিত করা কেবল মালিকের একার দায়িত্ব নয়,নারী শ্রমিকের ওপরও একইভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।তবে, ৪৬(২) ধারা অনুযায়ী কোনো নারী শ্রমিক এ সুবিধা পাবেন না যদি তার সন্তান প্রসবের সময় দুই বা ততোধিক সন্তান বেঁচে থাকে। তবে এক্ষেত্রে যদি তার কোনো ছুটি পাওনা থাকে তবে তিনি এই সুবিধা পাবেন। তবে, এই বিধানটির রাষ্ট্রভেদে ভিন্নতা আছে। দেশের জনসংখ্যা বিচার করেই এ বিধান করা হয়েছে।এ আইনের ৪৭ ধারায় এ বিশেষ সুবিধাগুলো পাওয়ার পদ্ধতিগুলো কেমন হবে তা বলা আছে ও ৪৮ ধারায় প্রসূতি কল্যাণ সুবিধার পরিমাণ সম্পর্কে বলা আছে।

ভারতে নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি বা অন্যান্য সুযোগ  সুবিধাগুলো মাতৃত্বকালীন সুবিধা আইন ১৯৬১ সালে অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশেও এ আইনটি ছিল। তবে ২০০৬ সালের পর নতুন করে অন্যান্য আইগুলোকে শ্রম আইনে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইনকে ২০০৬ সালের আইনে একত্রিত করা হয়েছে।কাজেই,বর্তমান আইনে নারীর মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সুবিধার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একজন নারী শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও সক্ষমতার বিষয়টি আইনে বেশ গুরুত্ব পেয়েছে।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Tags:

দেশ
Related News