গুলি করে খুন করা হয়েছে অভিনেত্রী পল্লবী দেকে!!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

 'আমি সিরাজের বেগম' সিরিয়ালের মাধ্যমে টেলিভিশনে পা রেখেছিলেন পল্লবী। তারপর ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রিতে তৈরী করছিলেন নিজের কেরিয়ার। কিন্তু হঠাত্‍ই মাঝপথে এমন সিধান্ত কেন নিলেন?বুঝে উঠতে পারছেনা কেউই। তাই গড়ফা থানার পুলিশ আধিকারিকরা চলে যান 'মন মানে না' ধারাবাহিকের ফ্লোরে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যাতে অভিনয় করেছেন পল্লবী দে। সেখানেই কাটল পুলিশের ধন্দ। পুলিশ আধিকারিকদের জানানো হয়, যেহেতু ইতিমধ্যেই পল্লবীর মৃত্যু হয়েছে, তাই সিরিয়ালে গুলি করেই খুন করা হয়েছে পল্লবীর চরিত্র গৌরীকে। সেভাবেই পালটে ফেলা হয়েছে সিরিয়ালের গল্পটি। ধারাবাহিকটিও খুব শিগগিরি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এদিনই ছিল শেষ পর্বের শুটিং। পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই তার প্রেমিক ও লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকের ওপর সকলের সন্দেহ গিয়ে পড়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সাগ্নিক। তারপর থেকেই বিভিন্ন তথ্য উঠে আসছে । কখনো ত্রিকোণ প্রেম। কখনো বা টাকা-পয়সা গয়নাগাটি হাতিয়ে নেবার চেষ্টা। আবার কখনো লিভিং পার্টনারের সঙ্গে তার মনোমালিন্য। এই ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত এখনো চলছে। সাগ্নিক পুলিশ জেরায় জানিয়েছিল পল্লবী সম্প্রতি একটি সিরিয়ালে অভিনয় করতেন।পল্লবীর বাবা-মা পরোক্ষভাবে সাগ্নিক কে দায়ী করেছেন পল্লবীর মৃত্যুর জন্য অপরদিকে কাল সাগ্নিকের বাবা-মাকে জেরার জন্য ডেকেছিল পুলিশ। এদিকে, সাগ্নিককে টানা জেরার পর পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিত যে, সল্টলেকে ভুয়ো কলসেন্টারের কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই যুবক। যেহেতু সল্টলেক ও রাজারহাটে কলকাতা পুলিশ, সিআইডি ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ক্রমাগত তল্লাশি চালায় কলসেন্টারগুলিতে।


পুলিশ খোঁজ চালাচ্ছে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন হয়েছিল ওই ভুয়ো কলসেন্টার থেকে তা কোথায় রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের সম্পত্তি কেনার জন্য যে দুই সম্পত্তি বিক্রি করেছে সাগ্নিকের পরিবার,সেগুলিরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, নিউ টাউনের ওই বহুতল আবাসনের প্রোমোটিং সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলা হবে। আপাতত সাগ্নিকের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ওই টাকা থেকে পল্লবীর অ্যাকাউন্টে যেমন টাকা গিয়েছে, তেমনই পল্লবীর অ্যাকাউন্ট থেকেও টাকা গিয়েছে। প্রথমদিকে, সাগ্নিকের পরিবার বলতে পারেনি তাঁদের ছেলে ঠিক কী কাজ করে। তাঁরা বারবার জানাচ্ছিলেন, ছেলে অনলাইনে কাজ করে।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Tags:

Related News