সঙ্গীতে সমাপ্তি এক অধ্যায়েরঃ অমৃতলোকে সঙ্গীতশিল্পী ‘K.K’

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

“জিনকে দরমিয়া গুজরি থি অভি কাল তক ইয়ে মেরি জিন্দগি, লো ইন বাহ কো ঠাণ্ডি ছাও কো হাম ভি কর চলে আল্ভিদা”। যখন গীতকথা সত্যি হয়ে যায় ,তাকেই বোধহয় জীবন বলা হয়।এখানে অতীত, বর্তমানের,ভবিষ্যতের মধ্যে যেন সূক্ষ্ম সুতোর মত যোগসূত্র। এক নিমেষে ,এক টানে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে সবকিছু।
৩১শে মে, একটি সন্ধ্যা,একটি কনসার্ট,একটি যুগের শেষ। গুরুদাস মহাবিদ্যালয় আয়োজিত  এবং নজরুল মঞ্চে উপস্থাপিত এই কনসার্টে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থবোধ করতে থাকেন  শিল্পী আর তারপর হোটেলে ফিরে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন;  পরিশেষে সি.এম.আর.আই তে অন্তিম নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৫৩টি বসন্ত পেরিয়ে পাতাঝরা মরশুমে রেখে গেলেন দুই সন্তান এবং স্ত্রী জ্যোতি কৃষ্ণা কে।
যাত্রা শুরু ইউটিভি জিংগল দিয়ে ।এরপর  রেহমান এর হাত ধরে প্লে-ব্যাক দুনিয়ায় পদার্পণ। গুলজার পরিচালিত ‘ম্যাচিস’ ছবিটির বিখ্যাত গান ‘ছোড় আয়ে হাম ও গলিয়া’র কিছু বিশেষ অংশে তিনি কণ্ঠ দিয়েছিলেন। কে .কের  প্রথম বলিউডে প্রবেশ(একক কণ্ঠে) ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ এ ‘তড়প তড়প’ গানটির মাধ্যমে,   ।‘পল’ ,’হামসফর’,’হামরাজ’ অ্যালবাম গুলিতে সুর আজও একরাশ নস্টালজিয়াকে টেনে আনে,ডেকে আনে কলেজ ক্যান্টিনের প্রেম কে, চলে যাই হারিয়ে যাওয়া স্কুলবেলাতে ।

তাঁর কণ্ঠে গাওয়া  ‘জারা সি’,’আজব সি’,দিল ইবাদত’,’বীতে লমহে’,’খুদা জানে’,’সজদে’,’ইয়ারো দোস্তি’,’সাচ কেহ রাহা হ্যাঁয় দিওয়ানা’ আমাদের মনুষ্যশরীর পেরিয়ে হৃদয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে।
কে.কে র গান নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে বর্তমান সময়কাল পর্যন্ত সবকটি প্রজন্মকে বেঁধে  একসুতোয় রেখেছিল, রেখেছে,ও রাখবে, শিল্পী অবিনস্বর তাঁর মৃত্যু নেই তবুও বাস্তব রুঢ় এবং কঠোর সত্য এটাই কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের কণ্ঠ স্তব্ধ, তিনি  শায়িত সিএমআরআইএর মর্গে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পরিবারের উপস্থিতিতে (তাঁরা ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন )  তাঁর ময়নাতদন্ত শীঘ্রই সংঘটিত হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। একটি  প্রয়াণ রেখে গেল উদ্যোক্তাদের ত্রুটিবিচ্যুতির মতন অনেক প্রশ্ন তবুও সবকিছু পেছনে ফেলে ছাপিয়ে যাবে তাঁর সুর। তাঁর  এই অকাল্প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ বলিউড,টলিউড,রাজনৈতিক, ক্রীড়া জগতের ব্যাক্তিত্বরা। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত গায়কের পত্নীকে জানিয়েছেন সমবেদনা, ব্যাক্ত করেছেন 'গান স্যালুটে' সন্মানিত করা হবে তাঁকে। ভালো থাকুন  সুরসম্রাট,সঙ্গীতে থাকুন, আল্ভিদা। একটি সব হারানোর সন্ধ্যার সাক্ষী রইল তিলোত্তমা, শেষ মুহূর্তের সুর ‘হাম রহে ইয়া না রহে ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল’ আক্ষরিক অর্থেই সত্য করে কে.কে চলে গেলেন চিরঘুমের দেশে।
পুনশ্চঃ সংবাদের অন্তর্ভুক্ত চিত্রটি ' নির্ধারিত অনুষ্ঠানসূচীর জন্য শিল্পী কর্তৃক রচিত শেষ 'প্লে-লিস্ট (অন্তর্জাল থেকে সংগ্রহীত'।)

Journalist Name : Suchismita Dasgupta

Tags:

Related News