#Pravati Sangbad Digital Desk:
ঠিক ১৬৮ বছর আগে, ১৮৫৪ সালে প্রথম বারের জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত ধরে চালু হয়েছিল ভারতের সব থেকে ব্যাস্ততম রেল ষ্টেশন হাওড়া। শুরুর দিন গুলিতে পন্য পরিবহণের উদ্দেশ্যেই ষ্টেশনটিকে চালু করেছিলো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ধীরে ধীরে যা রুপ নিয়েছে এক বিশাল স্টেশনের, বর্তমানে হাওড়া স্টেশনে ২৩টি প্লাটফর্ম, ২৬টিরও বেশি রেল লাইন রয়েছে, প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ্য যাত্রী হাওড়া ষ্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে আসেন, কিংবা হাওড়া স্টেশনে এসে যাত্রা শেষ করেন, ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে আগের তুলনাই, বেড়েছে ট্রেনের সংখ্যাও, কিন্তু বারেনি প্লাটফর্মের সংখ্যা, বেড়েই চলেছে নিত্যযাত্রীদের আনাগোনা, তাই এবার বিকল্প ভাবতে প্রস্তুত পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন।
যদিও এটি প্রথম নয়, এর আগেও এই চেষ্টা করা হয়েছে, বর্তমানে অনেক দূরপাল্লার ট্রেনই হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে সাঁতরাগাছি ষ্টেশন থেকে রওনা দেয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে, কিন্তু তাতেও চাপ কমার বিন্দুমাত্র দেখা মেলেনি। তাই এবার ডানকুনি জংশনকে বিকল্প হিসাবে বেঁছে নিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ, হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মনিশ জৈন অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন।
মূলত হাওড়া স্টেশনের ওপর থেকে বাড়তি চাপ কমাতেই এমন সিদ্ধান্ত হাওড়া রেল অধিকর্তাদের। সম্প্রতি ব্যান্ডেল স্টেশনে চালু হয়েছে আধুনিক নন ইন্টারলকিং ব্যাবস্থা, বাতিল হয়েছে ইংরেজ আমলের ম্যানুয়াল ইন্টার লকিং ব্যাবস্থা, যার জেরে গত শুক্রবার ২৭শে মে দুপুর তিনটে থেকে সোমবার ৩০শে মে দুপুর তিনটে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার জন্য পুরোপুরি বন্ধ ছিল ব্যান্ডেল জংশন, সেই সাথে বন্ধ ছিল হাওড়া বর্ধমান মেন লাইন ট্রেন পরিষেবা, বাতিল ছিল একাধিক ট্রেন, যার জেরে চাপ বেড়েছিল হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইনের ওপর। এদিন ব্যান্ডেল স্টেশনের নন ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিদর্শনে এসেছিলেন রেলওয়ে সেফটি কমিশনার শুভময় মিত্র এবং হাওড়া ডিভিশন এর ডিএম মনিশ জৈন, সেই খানেই তিনি বলেন হাওড়া স্টেশনের ওপর থেকে চাপ কমাতে ডানকুনি ষ্টেশনকেই দেখা হচ্ছে, সেই সাথে ডানকুনি স্টেশনে তৈরি হবে রেলের কোচিং কমপ্লেক্সও, সে ক্ষেত্রে দূরপাল্লার ট্রেন অনায়াসেই হাওড়া স্টেশনের পরিবর্তে ডানকুনি ষ্টেশন থেকেই রওনা দিতে পারবে।
Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee