আম্বানি কে পিছনে ফেলে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি গৌতম আদানি

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

পিছিয়ে পড়লেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। এশিয়ার বর্তমান সবথেকে ধনীতম ব্যক্তি হলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। রিপোর্ট অনুযায়ী গ্রুপ মারকেট ক্যাপিতালিজেশন এর ভিত্তিতে মুকেশ আম্বানি কে ছাড়িয়ে এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি হয়েছেন গৌতম আদানি। 2015 পর থেকে এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি ছিলেন মুকেশ আম্বানি কিন্তু এই বয়সেই তখন ঘুচলো। 23 শে নভেম্বর মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুসারে গৌতম আদানি এর মোট সম্পত্তির পরিমাণ 91 বিলিয়ন ডলার অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তি 88.8 বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ দুই ভারতীয় সম্পত্তির মধ্যে তফাৎ 2.4%। সেই দিন পর্যন্ত বিশ্বের ধনী ব্যক্তির তালিকা 11 নম্বর স্থানে ছিলেন মুকেশ আম্বানি। এতদিন পর্যন্ত মুকেশ আম্বানি ছিলেন ভারতীয়দের মধ্যে সম্পত্তির রাজা কিন্তু এইবার সেই স্থান নিলেন গৌতম আদানি। এর আগে আম্বানির মোট সম্পত্তি ছিল 9100 কোটি ডলার আর গৌতম আদানি সম্পত্তির পরিমাণ ছিল 8880 কোটি ডলার। পরবর্তীকালে তার পুত্র সম্পত্তিতে 1430 কোটি ডলার যোগ করলেও শতাংশের নিরিখে তফাৎ কিন্তু আগের মতই। 


এর প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারেও। এই খবরের পরই  রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির শেয়ারের দাম 1.72 শতাংশ পড়ে যায় কিন্তু অপরদিকে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন শেয়ারের দাম বেড়ে যায়। সূত্রের খবর আদানি গ্রুপের শেয়ারের দাম বাড়ি 2.3% আদানী পোর্ট এন্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন এর শেয়ারের দাম 4 শতাংশ। এতদিন পর্যন্ত এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি নামের জায়গায় গৌতম আদানি থাকতেন। বরাবরই প্রথম স্থানে থেকে এসেছেন আম্বানি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে গতবছর বিশ্বের সবচেয়ে দানশীল ব্যক্তির তালিকায় আছেন গৌতম আদানি। গত বছর থেকেই আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে চলেছে আদানি গ্রুপের সম্পত্তি। সামাজিক বিভিন্ন কাজে বাড়িয়ে গেছেন তিনি। আগের বছর পর্যন্ত ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইন্ডেক্স অনুযায়ী গোটা বিশ্বের মধ্যে আদানি ছিলেন 13 তম ধনী ব্যক্তি। গতবছর করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আদানি ফাউন্ডেশন শিক্ষা খাদ্য সুরক্ষা স্বাস্থ্য-পরিবেশ নগর উন্নয়ন প্রভৃতি কাজে দান করে গেছে। গত বছর থেকে আয়ের পরিমাণ বাড়তে থেকেছে আদানি গ্রুপের । গত এক বছরে গৌতম আদানি ও তার পরিবার প্রতিদিন 1002  কোটি টাকা আয় করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে আদানি গোষ্ঠী চেয়ারম্যান গৌতম আদানি খুব দ্রুত তার আর্থিক সাম্রাজ্যের বিকাশ ঘটিয়েছে যার ফলে আজ শীর্ষস্থান তার প্রাপ্তি। তবে আর্থিক বিশ্লেষকেরা এই বিষয়ে জানাচ্ছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির আসুন তখন ঠিক করা যাবে রিলায়েন্স জিও রিলায়েন্স রিটেল তাদের ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বাজারে ছাড়বে। হয়তো এরকমটা আগামী চার বছরের মধ্যেই হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। বিশ্বের করোনাকালীন পরিস্থিতিতে রিলায়েন্স গুগুল ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় 2 লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে। এছাড়াও রিলায়েন্স গুগলের সাথে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করেছে জিও ফোন যা ব্যবহারকারীদের কাছে ভালোই আলোড়ন যোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এই ফোনের দ্বারাই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রায় 500 মিলিয়ন ব্যবহারকারীর সংখ্যা লক্ষ্য হিসেবে রেখেছেন। বর্তমান খবর অনুযায়ী এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা 429.5 মিলিয়ন। এছাড়াও দেশের সর্ববৃহৎ রিটেল ব্যবসা সংস্থা হল রিলায়েন্স অর্থাৎ জিও যার গ্রাহক সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে এবং এর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। ইরফান রিলায়েন্স এর আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে দিন দিন।


ফলে যা ধারণা করা যায় তা তে এটাই প্রকাশ পায় মুকেশ আম্বানি জায়গায় গৌতম আদানি ধনীতম ব্যক্তি শিরোপা পেলেও তা ক্ষণস্থায়ী হবে। কারণ আম্বানির সম্পত্তির বৃদ্ধি হচ্ছে উত্তরোত্তর। এছাড়াও রিলায়েন্স যদি আগামী চার বছরের মধ্যে ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বাজারজাত করে তাহলে তার সম্পদের পরিমাণ বাড়বে বহুগুণ।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News