হবে অ্যাক্সিডেন্ট, বর্ষায় নিরাপদ ড্রাইভিং করতে মেনে চলুন নিন্মলিখিত কিছু নিয়ম

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বর্ষাকালে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কেননা, এ সময় বৃষ্টির পানিতে সড়ক-মহাসড়কে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে। জানুন বর্ষাকালে কীভাবে নিরাপদে গাড়ি চালাবেন।
খারাপ টায়ার বদলঃ
গাড়ির টায়ার পুরনো হলে বর্ষার শুরুতেই নতুন টায়ার লাগিয়ে নিন। পুরনো টায়ারে ভেজা রাস্তায় ভালো ব্রেক ধরে না। ফলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে দুর্ঘটনার আশংকা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই বর্ষার আগে টায়ার পরীক্ষা করে নিন।
গতি নিয়ন্ত্রণঃ
বৃষ্টির সময় গাড়ি চালালে সব সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। গতি সীমার নিচেই গাড়ি চালানো উচিত বর্ষায়। রাস্তা ভিজে গেলে গাড়ির গ্রিপ অনেকটা কমে যায়। এই কারণে গতি বাড়াতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে গাড়িতে ডিস্ক ব্রেক না থাকলে অবশ্যই গতি নিয়ন্ত্রণে রেখে বর্ষায় গাড়ি চালানো উচিত। বিশেষ করে ভারি বর্ষায় দৃশ্যমানতা কমে যায়। তাই বেশি গতিতে গাড়ি চালানে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে।
সার্ভিসঃ
বর্ষার শুরুতে গাড়ির সার্ভিস করে নেওয়া প্রয়োজন। গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। সেই সব কিছুই সার্ভিসের মাধ্যমে ঠিক করে নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও গাড়ির ওয়্যারিংয়ে কোথাও পানি ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তাও দেখে নেওয়া প্রয়োজন সার্ভিসে।
গাড়ির ব্রেকঃ
বর্ষাকালে অবশ্যই আপনার গাড়ির ব্রেক জবরদস্ত থাকতে হবে। এমনিতেই রাস্তাঘাটে জল থই থই অবস্থা, আর তাছাড়া চাকার ক্ষেত্রে পিছলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকায়, ব্রেক অবশ্যই মজবুত রাখতে হবে। দরকার পড়লে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই ঘষে যাওয়া ব্রেক প্যাড পরিবর্তন  করে নিতে হবে। এছাড়াও  অনেক সময় ব্রেকের মধ্যে যে তরল  থাকে তার পরিমানের তারতম্যের জন্য ব্রেক ধরার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায়। তাই এইসব কিছু আপনাকে বর্ষা শুরু হওয়ার আগে জরুরি ভিত্তিতে দেখে নিতে হবে।
গাড়ির চেনঃ
দুচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন অংশ হল গাড়ির চেন। বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই আপনাকে আপনার দুচাকা মোটরবাইকের ক্ষেত্রে চেন পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে তাতে ময়লা ,মাটি বা ধুলো বসেছে কি না। যদি খুব বেশি ময়লা ,মাটি বা নোংরা বসে থাকে তাহলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করে তাতে গ্রিজিং বা লুব্রিকেটিং তেল লাগাতে হবে উপযুক্ত পরিমানে যাতে তা  কম ঘর্ষনহীন অবস্থায় চলতে পারে।এছাড়ারাও চেন চলতে চলতে বড়ো হয়ে যায় ,তাকে ঠিকভাবে গাড়ির উপযুক্ত রাখতে হবে। ৫০০কিমি যাওয়ার পর পর চেন একবার করে লুব্রিকেটিং করে নিতে হবে। দেখে নিতে হবে চেনের ভেতরের খাঁজ গুলি ঘষে নষ্ট না হয়ে গিয়েছে কি না ।যদি তা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সেই চেন ব্যবহার না করাই ভালো।
গাড়ির ইঞ্জিনঃ
গাড়ির ইঞ্জিনের দিকেও আপনাকে অবশ্যই নজর দিতে হবে।এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে যেন ইঞ্জিনে রাস্তার কাদা মাটি না লাগে বর্ষাকালে। তাই অবশ্যই গাড়ির ইঞ্জিনের আগে মাডগার্ড লাগানো কাদা বা নোংরা জল থেকে ইঞ্জিনকে রক্ষা করার জন্য।যদি তাতেও কাদামাটি লেগে যায় তাহলে তা ইঞ্জিনে শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ইঞ্জিন থেকে ধুয়ে ফেলুন জল দিয়ে ।তবে অবশ্যই গরম ইঞ্জিন থেকে নিজের হাত বা পা পুড়ে না যায়।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News