উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে NDA পদপ্রার্থী জগদীপ ধনকড়-কে করার পেছনে রয়েছে এক অজানা কাহিনী!

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে অবশেষে দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে শনিবার। মমতার 'চরম' বিরাধীকেই ঢাল করল বিজেপি। বিজেপি পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকে এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে ধনকরের নাম ঘোষণা করা হয়।বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা উপরাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনকরের নাম ঘোষণা করেন। এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেন জগদীপ ধনকর। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এর ফলে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার পর জগদীপ ধনকর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত হবেন।
এই খবরে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি-র নেতৃবৃন্দ।
তাঁর সঙ্গে ধনকরের ছবি ভাগ করে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইটারে লিখেছেন, "জনগনের রাজ্যপাল। বিজেপি ও শরিক দলের মনোনীত উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনখড়কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। তাঁর জ্ঞান, মনীষা, সাহসী মনোভাব ও রাজ্যের শাসকদলের অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অনস্বীকার্য।"
বিজেপি-র পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার টুইটারে লিখেছেন, "মাননীয় রাজ্যপাল ধনকরজিকে ভারতের উপরাষ্ট্রপতির প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করায় তাঁকে অভিনন্দন। তাঁর বিশাল অভিজ্ঞতা এবং গভীর জ্ঞান তাঁকে দেশকে আরও ভালোভাবে সেবা করতে সাহায্য করবে। পদটির জন্য এটি একটি চমত্‍কার পছন্দ। আমি তাঁর মঙ্গল কামনা করি।" 
উল্লেখ্য উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু ১৯ জুলাই। এরপর ২০ জুলাই মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। ২২ জুলাই পর্যন্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা তাদের নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন। আগামী ৬ আগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। এদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এবং বিজেপি সভাপতি জগত্‍ প্রকাশ নাড্ডার সভাপতিত্বে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তাতেই ধনকরের উপর সিলমোহর পড়ে। যদিও ওই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজ্যপাল ধনকড় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে 'গোলাপের কাঁটা' হয়েছিলেন। রাজ্যপালকে সরানোর জন্য রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, আপাতত জগদীপ ধনকড় প্রার্থী হওয়ায় সেই অবস্থা থেকে স্বস্তি পেতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বাংলায় নয়া রাজ্যপাল কে হবেন তা নিয়েও ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।তিনি না থাকলে তাঁর জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সে ব্যাপারে জল্পনা চলছে।এএনএম নিউজ বিজেপির অভিজ্ঞ নেতাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে তিনটি নাম। প্রাক্তন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি, কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মাহম্মদ খান এবং হিমাচল প্রদেশের রাজ্যপাল এবং প্রাক্তন আরএসএস কর্মী রাজেন্দ্র আরলেকার বিবেচনার মধ্যে রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।বঙ্গ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মুসলিম ভোট। মমতার টিএমসি সংখ্যালঘু ভোটারদের একটি বড় অংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। নকভি বা খানকে বাংলায় পাঠিয়ে, বিজেপি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে বার্তা পাঠাতে পারে। রাজ্যসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাকভি। খান কেরালায় দীর্ঘ দিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন।তবে বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, আরএসএস-এর দীর্ঘ দিনের সদস্য আরলেকর রাজ্যপাল হওয়ার অন্যতম দাবিদার। সুনামের পাশাপাশি তাঁর রয়েছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি।

Journalist Name : SRIJITA MALLICK

Related News