কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের কাছে চিঠি পাঠালেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা নিয়ে আদালত যাতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এই নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করার জন্যও অনুরোধ করেছেন কৌস্তভ।
রক্তস্নাত গোটা বাংলা। হিংসা খুন, ভোট চুরি, মারামারিতে সন্ত্রাসপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। মুহুর্মুহু বোমা বিভিন্ন জায়গায়। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জেলায় জেলায়। এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তব বাগচী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পঞ্চায়েত ভোট বাতিলের দাবিতে।
ভোটে হিংসার দায় নির্বাচন কমিশনারের দাবি কৌস্তব বাগচীর। বেলাগাম হিংসা গোটা রাজ্য জুড়ে শুধু ভোটের দিনই নয় ভোটের আগের থেকে এখনো পর্যন্ত বলি ৩৪ জন। এবার নির্বাচন কমিশনার রাজিব সিনহার বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু।
তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম প্রত্যেক দলই তাঁদের কর্মীদের মৃত্যু দাবি করেছে। এখনও পর্যন্ত যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে মৃত ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন তৃণমূল কর্মী বা সমর্থক। বিজেপি-র ২ জন এবং সিপিএমের ২ জন। অন্যদিকে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিন মুর্শিদাবাদে একাধিক হিংসার খবর আসতে শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। কোচবিহারের দিনহাটাও সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। এদিন ভোটপর্ব শুরু হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃত্যুর খবর সামনে আসতে শুরু করেছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য প্রশাসনের যোজসাজশে পুরো ঘটনা ঘটে চলেছে। সংবাদমাধ্যমগুলিতে সকাল থেকে যে হিংসা ও অশান্তির অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই সব বিষয়গুলিও চিঠিতে তুলে ধরেছেন কৌস্তভ। কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, হাইকোর্ট যে নির্দেশগুলি দিয়েছিল তা মেনে চলা হচ্ছে না। আর সেই কারণেই নির্বাচন কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে।
রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কার্যত মেনে নিয়েছেন যে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা সম্ভব নয়। তিনি বললেন, ‘অপরাধ ঘটলে প্রথমে মামলা দায়ের হয়। তার পর তদন্ত এবং গ্রেফতারি। আশাকরি পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।”
শুভেন্দু বলেন, 'বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আজ ১৫ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ২০ হাজার বুথে ভোটে কারচুপি হয়েছে।
খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হাওড়ায় আক্রমণের শিকার হলেন একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের সাংবাদিক।
তাঁর ক্যামেরাম্যানের ওপরেও চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। দেবাশিসের কথায়, 'আমি এবং আমার ক্যামেরাম্যান কাজ করছিলাম। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী আমার ওপর চড়াও হয়। মারধরের পাশাপাশি আমার চশমা ভেঙে দেওয়া হয়। বাধা দিতে গেলে ক্যামেরাম্যানের ওপরেও চড়াও হয়।'
বিরোধী দলনেতা বলছেন, 'কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকার তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। কিন্তু শীর্ষ আদালত কঠোর পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিনা খরচে আধাসামরিক বাহিনী পাঠিয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের ব্যবহারও করেনি!