সকাল
বিকেল সন্ধ্যা যেকোনো সময়ই বাঙালির চায়ের সাথে টা থাকা মাস্ট।
আর এই টা এর
মধ্যে সবচেয়ে আগে রয়েছে রকমারি বিস্কুট। ছোট থেকে বড়ো সকলেরই চা কিংবা দুধ,
কফির সাথে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে। কেও একটা, দুটো আবার কেও বয়াম বা প্যাকেট ধরে
বিস্কুট খান। আর এই বিস্কুট
খাওয়ার ফল হতে পারে
মারাত্মক। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এক খবর থেকে
দেখা গিয়েছে, মারাত্মক সব রোগ হতে
পারে অতিরিক্ত বিস্কুট খেল। যেমন অ্যালার্জি হতে পারে। এছাড়াও বিস্কুটে প্রচুর পরিমানে ময়দা, চিনি থাকায় এটা থেকে অর্শের সমস্যা, শরীর ভারী হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অতিরিক্ত বিস্কুট খেলে হারাতে হত পারে স্মৃতি
শক্তি ও।
তাহলে
কী বিস্কুট খাওয়া একেবারেই বন্ধ? না চিকিৎসকদের মতে
অধিক মাত্রায় খাওয়া বিস্কুট যেমন শরীরের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে তেমনই উপকারীও। তার জন্য বাজার চলতি যেকোনো বিস্কুট না খেয়ে বেছে
নিন ডাইজেস্টিভ বিস্কুট। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টিগুন যা শরীরে সরাসরি
এনার্জি জোগায়। রক্ত পরিষ্কার রাখে, বাজে কোলেস্টেরলের মাত্ৰা কমিয়ে শরীরে ভালো কলেস্টারলের অধিক্য বাড়ায়। এছাড়াও এতে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
তাই
বাইরের কেনা বিস্কুট ছেড়ে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই স্বাস্থ্যকর বিস্কুট।
যা পরিমানের বেশি খেলেও হবেনা কোনোরকম এলার্জি। তবে বানাবেন কিভাবে জেনে নিন সেই পদ্ধতি।
মজাদার
মুচমুচে ও স্বাস্থ্যকর বিস্কুট
বানাতে লাগবে-
১
কাপ বিশুদ্ধ ময়দা। ৪ চা চামচ
কাস্টার্ড পাউডার। ১/২ কাপ
গুঁড়ো চিনি। ১/২ কাপ
বাটার।
১/২ কাপ টুটি
ফ্রুটি (অপশনাল) ১/২ কাপ
ড্রাই ফ্রুটস। ২ ফোঁটা পাইনাপেল
এসেন্স (নিজেরদের পছন্দের অন্য ফ্লেভার ও দিতে পারেন)
বানাবেন
যেভাবে-
ঘরোয়া
পদ্ধতিতে মুচমুচে ও স্বাস্থ্যকর কুকিস
বা বিস্কুট বানানোর জন্য সবার প্রথম চিনি আর বাটার টা
ভালো করে ফেটিয়ে একটা স্মুথ ক্রিমি টেক্সচারে আনতে হবে। এবার তাতে একে একে টুটি ফ্রুটি, ড্রাই ফ্রুটস, পাইনাপেল এসেন্স ও অল্প অল্প
করে ময়দা মিশিয়ে একটা নরম ডো বানিয়ে নিতে
হবে।
এবার
ওই ডো টাকে ভালো
করে প্লাষ্টিক পেপার দিয়ে ৱ্যাপ করে ফ্রিজে রাখুন ৫-৬ ঘন্টার
জন্য। তারপর সময় হলে ফ্রিজ থেকে বের করে নিজেদের ইচ্ছে মতো সাইজে পিস করে কেটে নিন।
এবার
একটা বেকিং ট্রে তে বাটার পেপার
দিয়ে তাতে কেটে রাখা টুকরো গুলো দিয়ে ওভেনে ১৬০ ডিগ্রি তে ১৫ মিনিটের
জন্য বেক করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে চায়ের সাথে খাওয়ার ঘরে বানানো বিস্কুট।