গরমের ছুটিতে পড়ুয়াদের কাজের দায়িত্ব দিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

এবছর মার্চের শেষ আর এপ্রিল এর শুরুতেই হাড় এ হাড় এ গরমের টের পেয়েছে বাংলার মানুষ। এই বছরের এপ্রিল মাসে গরমে ভোগান্তি আর পাঁচটা বছরের এপ্রিল মাসের থেকে অনেকটাই বেশি। এপ্রিল মাসের শেষ বৃষ্টি হয়েছিল পয়লা এপ্রিল। তারপর থেকে আর বৃষ্টির ছিটেফোঁটা ও নেই সারা বঙ্গে। তাপপ্রবাহ এ পুড়ছে কলকাতা ,বাঁকুড়া , পুরুলিয়া,আসানসোল ,শ্রীনিকেতন সহ  রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাগুলি।বাকি বছর গুলিতে এপ্রিল মাসে গরমের হার এতটা না থাকলেও এই বছর অনেকটাই ব্যতিক্রম ঘটেছে। তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে অতিক্রম করেছে ইতিমধ্যেই। জেলাগুলোতে তাপপ্রবাহ বইছে।তাপমাত্রা রোজই ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর আশেপাশে পৌঁছে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষের বাড়ির বাইরে বেরনই দায় হয়ে উঠেছে। তীব্র গরম থেকে রেহাই দিতে গত রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যম এর দ্বারা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি গ্রীষ্মকালীন এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার নির্দেশ দেন। ফলত ১৭ থেকে ২৩ এ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন এই বছরের গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা। এই বছর ২৪ এ মে থেকে গরমের ছুটি পড়ার কথা থাকলে ও গরমের ছুটি ২ রা মে তে এগিয়ে আনা হয়েছে। পূর্ব নির্দেশ অনুযায়ী ২ রা মে থেকেই রাজ্যে গরমের ছুটি পড়তে চলেছে।

আর এই গরমের ছুটিতে এবার স্কুল পড়ুয়াদের জন্য নতুন ধরনের হোমওয়ার্ক এর ব্যবস্থা করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এবার গরমের ছুটিতে পড়ুয়াদের কি কি কাজ করতে হবে তার একটি রূপরেখা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। ছাত্র জীবনেই ভবিষ্যত গড়ে তোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। এই কথা মাথায় রেখেই বেশ কিছু কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। এবার থিওরিটিকাল নয় বরং প্র্যাক্টিক্যাল কাজের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ক্লাস অনুযায়ী ছাত্রছাত্রীদের মেধা,আগ্রহ ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে ভাগ করে বেশ কিছু দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। যেমন পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর পড়ুয়াদের বাড়ির আশেপাশের পরিবেশ লক্ষ্য নজর করতে হবে। পরিবেশের যাবতীয় যা পরিবর্তন বা যা কিছু লক্ষণীয় সেগুলি নিয়ে নিজেদের মতো করে গবেষণা করতে হবে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়াদের তাদের বাড়ির আশেপাশের বিভিন্ন গবেষণাগার বা কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে হবে ও বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং সেই নিয়ে লিখতে হবে। এগুলির জন্য তারা সময় পাবে সাত থেকে আট দিন। তবে মাথায় রাখতে হবে ওই কেন্দ্র গুলি যেনো স্কুল থেকে ৩ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত হয়। আবার নবম ,দশম ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের কাজ হবে একটু আলাদা। ৭ থেকে ৮ দিন তাদের যেতে হবে ব্যাংক, গ্রন্থাগার, কলেজ, হাসপাতাল কিংবা কোনো হস্তশিল্প কেন্দ্রে। বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করে লিখতে হবে। এই বিষয়গুলির দিকে লক্ষ্য নজর করবে স্কুল শিক্ষা দপ্তর, ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার(বি ডি ও) ও সাব ডিভিশনাল মেজিস্ট্রেটরা। ছাত্রছাত্রীদের সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান বৃদ্ধি, জাতীয়তাবোধ তৈরি ও পরবর্তীতে কর্মজীবনে সুবিধার জন্য এই প্রকল্পর কথা ভাবা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্কুলে ছুটি পড়ার দশ দিন আগেই পড়ুয়াদের প্রকল্পের কাজ গুলি বুঝিয়ে দিতে হবে।

Journalist Name : Srimita Sasmal

Tags:

Related News