উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে প্রশ্নপত্র ভাইরালের চেষ্টায় দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা সাসপেন্ড করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। একজন স্মার্টফোন এবং আরেকজন স্মার্টওয়াচ নিয়ে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ। তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে পরীক্ষা সাসপেন্ড করে সংসদ।
সদ্য শেষ হয়েছে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা চলাকালীন নিয়মিতই প্রশ্নপত্র ছড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মালদহের একটি গ্যাংকে চিহ্নিতও করা হয়। যারা রীতিমত পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটাচ্ছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু বলেছিলেন, যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তারা কেউ পড়ুয়া নয়। বলেছিলেন, “একটি চক্র রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ শুধু জানিয়েছে একটা গ্যাং এটা করেছে।”
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৬ তারিখ অর্থাৎ আজ শুক্রবার থেকে। পরীক্ষার প্রথমদিনই দেখা গেল এক পরীক্ষার্থী স্মার্টফোন, আরেকজন স্মার্টওয়াচ নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকে। ছবি তুলে প্রশ্নপত্র বাইরে পাঠানোই উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে সংসদ। হাতেনাতে তাদের ধরা হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত কড়াকড়ি যে পরীক্ষা ঘিরে, মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা রয়েছে, তারপরও কী করে এমন ঘটনা ঘটছে তা ভাবাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পশ্চিম গাবেরিয়া হাইস্কুলে বারাসত (দক্ষিণ) এসএ হাইস্কুলের দুই পরীক্ষার্থী স্মার্ট ফোন নিয়ে ঢোকায় তাদের সাসপেন্ড করা হয়।
এছাড়া আসানসোলে সেন্ট মেরি গোরিটি হাইস্কুলে শান্তিনগর বিদ্যামন্দিরের এক পরীক্ষার্থীকে মোবাইল-সহ ধরা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিকে প্রশ্নপত্র সিরিয়াল নম্বর আর বারকোড ছিল এবার। খাতার উপর ডানদিকে প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বর লিখতে হয়েছে। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “৯টা ৪৫ এ পরীক্ষা শুরু হয়। ১১.৩০ নাগাদ একটা প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্কুলেট হয়। কিন্তু ওটা আমাদের প্রশ্নপত্র নয়।” সংসদ সভাপতি জানান, উত্তরপত্রে সিরিয়াল নম্বর থাকবে পরের বছর থেকে। ৬২ টা বিষয়ে সিরিয়াল নম্বর থাকবে।
উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই সাসপেন্ড দুই পরীক্ষার্থী