কতটা সক্রিয় ওমিক্রণ প্রভাব বিস্তারে

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

করোনাভাইরাস এর নতুন নতুন ভেরিয়েন্ট মাথাচাড়া দিচ্ছে। এর মধ্যেই নতুন ভাবে দেখা দিয়েছে করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট ওমিক্রণ। সংক্রমণ কোনটা বেশি হলেও মারন ক্ষমতা তেমন নেই এই নয়া স্ট্রেনের। প্রাথমিকভাবে এমনটাই ধারণা করে জানিয়েছেন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় এপিডিমিওলজিস্ট এন্টনি ফাউচি। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ একেবারেই কম ছিল এখন সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। সংক্রমণ তেমনভাবে বাড়লেও মৃত্যু বা বাড়াবাড়ির কোন খবর এখন পর্যন্ত তেমন নেই। আশঙ্কা করা হয়েছিল নতুন স্ট্রেনে অল্প বয়সীদের আক্রমণের সংখ্যা বেশি হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তেমন কোনো বড় সংবাদ নেই।


এখনো পর্যন্ত ৪০ টি দেশে অমিক্রণ চিহ্নিত করা হয়েছে তবে তেমন কোন বিপদ সংকেত কোন দেশ থেকেই পাওয়া যায়নি। প্রথমত আমেরিকাতে এই রোগ ভীষণভাবে ছড়ায় এবং তারপরই অস্ট্রেলিয়াতেও সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়। এখনো পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই সংক্রমনের খবর পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু তাদের সাথে বিদেশে ফেরার কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ বিদেশে স্থানীয়দের মধ্যেই এই নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ছড়াচ্ছে। বিদেশে ইতালি জার্মানি সব জায়গাতেই যারা টিকা নেয়নি তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালানো হচ্ছে। লকডাউন না করে কিছু বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছে সমস্ত রকম জামায়াতের ওপর। তবে যারা টিকা নেয়নি তাদেরকে লকডাউন এর আওতায় আনা হচ্ছে। যারা টিকা নিয়েছে বা যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ তাদের ই গ্রীন পাস এর মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে ডেল্টা স্ট্রেনের  খাতা বন্ধ হলেও নতুন করে প্রভাব বিস্তার করবে ওমিক্রণ।


এইদিকে রাজ্যে ভিড় দেখে বোঝা দায় করোনা পরিস্থিতি। টিকা প্রায় ১০০% সম্পন্ন হলেও করোনার প্রকোপ এখনো কমেনি।  বিধি-নিষেধ কিছু শিথিল করার তেই সচেতনতার অভাব দেখা দিচ্ছে রাজ্যজুড়ে। হুগলি মেদিনীপুর দিনাজপুর বীরভূম বর্ধমান ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে যাত্রীদের ভিড় প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যায়। তারপরই আছে উৎসবের মরসুম দুর্গাপূজা থেকে শুরু করে দীপাবলি জগদ্ধাত্রী পুজো যে কোন অনুষ্ঠানে দেখা কাছে মানুষের ঢল কিন্তু মাস্ক ছিল খুব কম মানুষেরই মুখে। তবে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন কারণ নতুন ভেরিয়েন্ট  অমিক্রণ ভারতে চলে এসেছে। রাজ্যজুড়ে করো না পরিস্থিতি অনেকটাই কম এবং কোভিদ রোগীর সংখ্যাও কম। হাসপাতালে কমেছে রোজ অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা তাই সাধারণ মানুষের চিন্তার কারণ অনেকটাই দূর হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকদের মত অনুসারে করণা যখন প্রথম আসে তখনকার মতই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এখনো। মানুষ অনেক দিন ধরে বিধিনিষেধ মানার পর বাইরে বেরিয়ে তারা স্বস্তি খুঁজছে কিন্তু তাদের বোঝাতে হবে সংক্রমণ এখনো কমেনি। ঝাড়গ্রামে মাস্ক বিহীন লোক দেখলেই করোনা পরীক্ষা করানোর কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। শীত আসতে বিভিন্ন জায়গায় পিকনিক জমায়েত মেলা বিয়ে বাড়ি প্রভৃতিতে দূরত্ব বৃদ্ধি বা বিধি-নিষেধ কতটা মানা হবে তা নিয়ে চিন্তায় আছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনেরা। কোচবিহারের চিত্র অনুযায়ী শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বাসিন্দাদের দেখা যাচ্ছে মাস্ক সহ। এছাড়া স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। শিলিগুড়িতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা অভাব যথেষ্ট রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাণিজ্যিক শহর শিলিগুড়ি আর সেখানেই অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন জেলায় জেলায় কর্মসূচির দ্বারা সচেতনতা বাড়ানোর দরকার রয়েছে এখনো।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News