#Pravati Sangbad Digital Desk:
করণার দাপট শেষ না হতে হতেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। মূলত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে। প্রতিনিয়ত প্রচুর শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। এক থেকে দেড় বছরের শিশুদের ওপরই এই ভাইরাস এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি। হাসপাতাল গুলিতে বেড এর অভাব দেখা দিচ্ছে। কখনো কখনো একই বেডে একসাথে তিনটি করে শিশুর চিকিৎসার খবর ও উঠে আসছে। হাসপাতাল গুলির বাইরে বাচ্চার পরিবারের লোকজনের কান্নার রোল পড়ছে। মৃত সন্তানকে নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অসহায় বাবা মাকে। এমতাবস্থায় চিন্তায় থাকছেন বাচ্চাদের বাবা মাএ রা। তাই বাচ্চাদের এসব থেকে দূরে রাখার জন্য তাদের খাদ্যতালিকায় কিছু বদল আনা যেতে পারে, যাতে তারা কম আক্রান্ত হবে। মূলত ছয় মাস থেকে চার বছরের শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই হলো মূল লক্ষ্য। তবে এই বয়সী শিশুদের খাওয়ানোই একটা বড়ো ঝক্কি। তাই তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনে কিছু মুখরোচক খাবারের সাহায্য নিতে হবে। এই সময় শিশুদের রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কি কি খাওয়ানো যেতে পারে জেনে নিন -
১. বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে রান্নায় ব্যাবহার করতে হবে কাঁচা হলুদ ,দারচিনি ও লবঙ্গ এর মত মশলা। এগুলিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে রোগ কে রাখে দূরে।
২. এই সময় বাচ্চাদের একটু হলেও তেতো খাওয়ার খাওয়াতে হবে। মুখে অরুচি হলেও পাতে দিতে হবে অল্প নিমপাতা কিংবা করলা ভাজা।
৩. এক টুকরো কাঁচা হলুদ এর সঙ্গে একটু মধু দিয়েও বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন। কিংবা দুধের সঙ্গে কাঁচা হলুদ দিয়েও খাওয়াতে পারেন। এগুলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. অ্যাডিনো এর থেকে শিশুদের দূরে রাখতে সবসময় তাদের শরীর হাইড্রেটেড রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারেরা ।তাই শিশুদের নিয়ম করে জল , ও আর এস ,ফলের রস প্রভৃতি খাওয়ান ।শিশুদের দোকানের কেনা ফলের রস না খাইয়ে বাড়িতেই ফলের জুস বানিয়ে খাওয়ান ।
৫. বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাওয়ার খাওয়ান ।মাছ ,মাংস , ডিম কিংবা ডাল,সোয়াবিন রাখুন খাওয়ার পাতে।গোটা খেতে না পারলে ডিম সেদ্ধ করে ভাতে মাখিয়ে নিন ,মাছের কাঁটা বেছে ভাতে মাখিয়ে খাওয়ান । বাচ্চারা খেতে ন চাইলে সব সবজি ও মাংস দিয়ে স্টু বানিয়ে খাওয়ান ।এতে শরীরে অনেকটা এনার্জি আসবে ।
৬. এসময় শিশুদের টক দই খাওয়ানো যেতে পারে ।দই এ থাকে প্রোবায়োটিক উপাদান ,যা লিভার কে সুস্থ রাখে ।কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে থাকে ।টক দই এ থাকে ফার্মেন্টেড এনজাইম যা হজমে সহায়তা করে ।তাই শিশুদের দই খাওয়ান ।প্রতিদিন একঘেয়ে দই ন খাইয়ে মাঝে মাঝে ঘোল কিংবা রায়তা খাওয়ান ।শরীরের উপকার হবে ।।
Journalist Name : Srimita Sasmal