নব্বইয়ের দশকে যাদের জন্ম , তাদের কাছে লাকি আলি নামটা খুব ই সুপরিচিত। ' কহো না প্যায়ার হ্যায়' র গায়কের জীবনের গল্প অন্য আর পাঁচজন সেলিব্রেটির থেকে আলাদা তা তাঁর জীবন পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়। আজ তাঁর জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক তাঁর জীবন ও কেরিয়ার। কিংবদন্তী অভিনেতা মেহমুদ র ছেলে লাকি নিজের কেরিয়ার শুরু করেন বেশ দেরিতে ই। প্রথম অ্যালবাম ' শুনোহ ' যখন রিলিজ করে ১৯৯৬ এ , তখন তার বয়স ৩৭। ১৯৯৮ সালে রিলিজ হয় 'সিফার' , আর ২০০০ সালে ঋত্বিক রোশনের ডেবিউ ফিল্মে দু'টো হিট গান গেয়ে তিনিও বেশ রাজকীয় ভাবে প্রবেশ করেন বলিউডে। বিশেষ করে তার গান --- ' এক পল কা জিনা ' তাঁকে সমগ্র দেশে খ্যাতি এনে দেয়। এরপর তিনি নানা বলিউড ফিল্মে গান করেন, একইসঙ্গে অভিনয় ও, ২০১৫ ' র তামাশা ফিল্মে তিনি শেষ গান গেয়েছেন, তবে তিনি বলিউডের প্রতি অপ্রসন্ন তা সময়ে সময়ে ব্যক্ত করেছেন। ২০১৭ র এক ইন্টারভিউ তে তিনি বলেন যে, বলিউড থেকে তিনি আর ভালো কিছু আশা করেন না। এখানে শুধু অসভ্যতামি হয়ে থাকে। নতুন কিছু শেখার নেই আর বলিউড থেকে। বর্তমানে লাকি আলি থাকেন গোয়ায়। গানের চর্চা করেন নিজের মতো আর কৃষকের সাহায্য করেন।তবে তিনি পরবর্তীকালে গান গাইলেন কী গাইলেন না, তার খুব একটা প্রভাব পরবেনা তাঁর ভক্তদের উপর। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা অনেকের কাছেই ছোটবেলার নস্টালজিয়া হয়ে বেঁচে থাকবে বহুকাল।