গোলাপি-বেগুনি নয়...মানুষের চোখ কেন নীল, সবুজ, বাদামি, কালো হয় জানেন ?

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সৌন্দর্যের বর্ণনায় অনেকসময়ই বলা হয়ে থাকে 'কাজল কালো চোখ'। কিন্তু এই বর্ণনা সবার চোখের ক্ষেত্রে কি খাটে ? কিছু কিছু মানুষকে চাইলেও এই শব্দগুলো দিয়ে কিন্তু কখনওই তাঁদের চোখের সৌন্দর্যের প্রশংসা করা যাবে না। কারণ, কিছু কিছু মানুষের চোখের রং কালো নয়, পরিবর্তে তাঁদের অনেকেরই চোখ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে।

যেমন- কারও নীল, কারও সবুজ, কারো বাদামী আবার কারো ঘোলাটে হয়ে থাকে। 

প্রতিটি মানুষের চোখের রঙ আলাদা। কারও চোখ বাদামী, তো কারও চোখ কালো, আবার সবুজ, নীল, গাঢ় বাদামীও চোখের মণি দেখা যায়। এই ধরনের বিভিন্ন চোখ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ঠিকই। আবার অনেকে আকর্ষণীয় দেখতে চোখের রঙও পরিবর্তন করেন। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন সব মানুষের চোখের রঙ ভিন্ন হওয়ার পেছনের কারণ কী ?আসলে চোখের রঙ একটাই। বাকিটা আমাদের দৃষ্টিভ্রম! হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি এই দাবিই করেছেন গ্যারি হেইটিং নামে এক বিজ্ঞানী। তাঁর দাবি, সবুজ, নীল বা কালো নয়, চোখের একটাই রং। আর সেটা হল বাদামি।

এটা তো আমরা সবাই জানি, গায়ের রঙ কেন কালো বা ফর্সা হয়। আমাদের ত্বকে মেলানিনের উপস্থিতির কারণেই এই রঙ বদলের খেলা চলে। অর্থাত্ মেলানিন বেশি থাকলে ত্বকের রঙ কালো, যত কম থাকবে গায়ের রং তত ফ্যাকাশে হবে।

হেইটিঙের দাবি, “ত্বকের মতো চোখের রংও নির্ধারণ করে এই মেলানিন। চোখের মণিতে উপস্থিত মেলানিনের মাত্রাই বলে দেয় রঙ কী হবে।”


চোখের মণিতে থাকে মেলানোসাইটস, যা মেলানিনের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। এই মেলানোসাইটস-এর একটাই রং হয়। সেটা হল বাদামি। চিকিত্সক হেইটিং জানান, প্রত্যেক মানুষের চোখের রং বাদামি এবং মেলানোসাইসটস-এর একটাই শেড, তা হল বাদামি। তবে এই মেলানোসাইটস কোনও ব্যক্তির বেশি থাকে, কোনও ব্যক্তির কম।

যে সব মানুষের চোখের রং হালকা, তাদের মেলানোসাইটস কম। ফলে বাইরের আলো সহজেই চোখ শুষে নেয়, তার পর সেটা প্রতিফলিত হয়। আর সে কারণেই চোখের রং হালকা মনে হয়।

যাদের চোখ বাদামি, তাদের চোখে মাত্রাতিরিক্ত মেলানিন থাকে। ফলে বাইরের আলো কম প্রবেশ করে। আবার যাদের চোখ দেখে মনে হয় নীল, তাদের ক্ষেত্রে মোলানোসাইটস-এর মাত্রা একদম কম থাকে। ফলে বাইরের আলো শুষে নিতে পারে না, কিন্তু প্রতিফলন হয় অনেক বেশি।

গোটা প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে বিচ্ছুরণের কারণে। বিচ্ছুরণের ফলে ছোট তরঙ্গদৈর্ঘের আলো প্রতিফলিত হয়। আর যেহেতু নীল এবং সবুজ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য খুবই কম, তাই আমাদের চোখে উল্টো দিকের ব্যক্তির চোখের রং নীল বা সবুজ মনে হয়।

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News