দীর্ঘ দিনের চাহিদা মেনে ফের আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে চলেছে কলকাতা-কোচবিহার উড়ান পরিষেবা। যদিও উত্তরের উড়ান নিয়ে ফের রাজনীতি। রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রতিনিধি এই উড়ানের প্রথম যাত্রায় হাজির থাকছেন না।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ৫ প্রতিনিধি যাওয়ার কথা ছিল এই উড়ানে। কিন্তু ৯ আসনের উড়ানে আসন দাবি করে বিজেপিও। সূত্রের দাবি, জটিলতা এড়াতেই থাকছেন না রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। যাওয়ার কথা থাকলেন, থাকবেন না রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায়।
প্রসঙ্গত এই উড়ানের শুভারম্ভে যোগ দেওয়ার জন্য তারা কলকাতা চলেও এসেছিলেন। যদিও তারা সেই উড়ানের প্রথম দিনের যাত্রায় সঙ্গী হচ্ছেন না। সূত্রের খবর, প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকেই তাদের না থাকতে বলা হয়েছে। আজ দুপুর আড়াইটের সময় এই উড়ান পরিষেবার উদ্বোধন হবে। কলকাতা থেকে কোচবিহার উড়ে যাবে ৯ আসনের বিমান।
তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের এ নিয়ে বক্তব্য, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কলকাতা-কোচবিহার বিমান চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। তার প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা করার রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এয়ারপোর্টের প্রস্তুতি থেকে পুলিশি ব্যবস্থা, ডাক্তার, নার্স থেকে শুরু করে দমকল, আরও যে ব্য়বস্থা করা দরকার সবই করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে পাঁচজন প্রতিনিধি আজ যাওয়ার কথা ছিল ওই বিমানে। তবে গতকাল বিজেপি যে অভব্য আচরণ দেখিয়েছে, ওরা জোর করে বলছে বিমানের সমস্ত আসনই তারা নেবে। তাদের ৯ জন লোক যাবে। এই অবস্থা দেখে আমরা নিজেরাই তা প্রত্যাহার করে নিয়েছি।”
যদিও পাল্টা বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, “কে যাবেন কে যাবেন না, আমরা তো কাউকে জোর করে নিয়ে যেতে পারি না। কিন্তু আমাদের ওনারা সবসময় জ্ঞান দেন, সকলকে সব কাজে সহযোগিতা করতে হবে। এটা একটা ভাল কাজ হচ্ছে, সেখানে ওনাদের সহযোগিতা করা উচিত। সঙ্গে যাওয়া উচিত। এসব নিম্নমানের রাজনীতি। বাংলায় রাজনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছে, আচরণে বোঝা যায়।”
রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম বা উড়ান স্কিমে কলকাতা-কোচবিহার উড়ান চালানোয় অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক।গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিমান চলাচল শুরু হয়ে যাওয়ার কথা ছিল কোচবিহার জেলায়।মোট ৯ আসনের বিমান পরিষেবা শুরুর বিষয়টি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতি-মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। বিমানের ভাড়াও ধার্য করা হয়েছিল জনপ্রতি মাত্র ৯৯৯ টাকা। তবে এই বিশেষ ভাড়া রাখার কথা ছিল মাত্র শুরুর তিন মাস। যা মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকবে বলে আশা করছেন উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ।
এর আগে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে বলেছিলেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের উন্নয়ন চলুক। এই পরিষেবাতেও কোনও রাজনীতির ছায়া না পড়ুক, বলেছিলেন তিনি। তবে তেমনটা যে হল না, তা বলাই যায়।