মেয়ে উঠলেও মেট্রোয় উঠতে পারেননি মা, আরপিএফ কর্মীর সহযোগিতায় শেষমেষ পুনর্মিলন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk::

নিজের দশ বছরের মেয়েকে মেট্রোয় তুলে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু ভিড়ের ঠেলায় উঠতে পারেননি নিজেই। চোখের সামনে মেয়ে কে নিয়ে স্টেশন ছেড়ে বেরিয়ে যায় ট্রেন। শেষমেষ এক আরপিএফ কর্মীর তৎপরতায় অন্য স্টেশন থেকে মেয়ে-কে ফিরে পেলেন মা।
বৃহস্পতিবার, ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১১ টা বেজে ৪০ মিনিট। কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনে তখন কাতারে কাতারে মানুষের সমাগম। গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রথমে নিজের দশ বছরের মেয়েকে মেট্রোয় তুলে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু ভিড়ের ঠেলায় উঠতে পারেনি নিজেই। চোখের পলকে স্টেশন ছাড়ে ট্রেন। ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন ওই মহিলা। এক মুহূর্ত‌ও সময় নষ্ট না করে এক আরপিএফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই মহিলা। খবর পেয়ে ওই আরপিএফ কর্মী নির্দিষ্ট লাইনের প্রত্যেকটি মেট্রো স্টেশনকে অবগত করেন। বর্ণনা করা হয় মেয়েটির গরন এবং পরিহিত পোশাক সম্পর্কে। রীতিমতো অভিযানে নেমে পড়েন বিভিন্ন স্টেশনের আরপিএফরা। প্রত্যেকটি কামরায় চালানো হয় চিরুনি তল্লাশি। শেষমেষ মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশন থেকে ওই দশ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করে এক আরপিএফ। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশন মাস্টারের রুমে। কিশোরীর কাছ থেকে জানতে যাওয়া হয় তার পরিচয়। সেইমতো সে তার পরিচয় প্রকাশ করে। সেই সঙ্গে নিজের ঠাকুমার ফোন নম্বর‌ও প্রদান করে। এরপর ঠিক ১২ টা ১৫ মিনিটে কিশোরীর ঠাকুমাকে ডেকে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি মাস্টারদা সূর্য সেন মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কিশোরীর ঠাকুমা। পরিচয় খতিয়ে দেখে শেষমেষ ঠাকুমার হাতে তুলে দেয়া হয় তাঁর নাতনিকে। নাতনিকে কাছে পেয়ে খুশির ঝলক ফুটে উঠতে দেখা যায় ঠাকুমার মুখে। কিশোরীর পরিবারের তরফে রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ‌ও জানানো হয়।

তবে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত ৭ অক্টোবর এসপ্ল্যানেড স্টেশনে নামার পর এক দম্পতি লক্ষ্য করেন, তাঁদের ১০ বছরের মেয়ে তাঁদের সঙ্গে নেই। তাঁরা নামলেও মেট্রোর কামরার মধ্যেই রয়ে যায় তাঁদের মেয়ে। তৎক্ষণাৎ তাঁরা স্টেশনের সুপারইনটেন্ডেন্টের সঙ্গে পরামর্শ করেন। কলকাতার সমস্ত মেট্রো স্টেশনকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হয়। স্টেশনে উপস্থিত রেলকর্মীরা মেয়েটিকে খোঁজার জন্য তত্‍পর হয়ে ওঠেন। শেষে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করেন এক আরপিএফ কর্মী। তারপর তাকে স্টেশনমাস্টারের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। বাবা-মায়ের ফোন নম্বর জানায় সে। তার পরই বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁদের মেয়েকে।
#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Uddyaloke Bairagi

Related News