অদুরেই শুরু হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প ফ্লেক্স ইঞ্জিন ।এতদিন আমরা পেট্রোল ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন শুনেছি, কিন্তু ফ্লেক্স ইঞ্জিন শব্দটি একেবারেই নতুন। বিগত বৈঠকে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গাডকার সমস্ত যানবাহনে ফ্লেক্স ইঞ্জিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন। ২০২৩ এর মধ্যেই ভারতে আসতে চলেছে ফ্লেক্স ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য হলো, এটি ইথানন ও পেট্রোল মিশ্রিতভাবে অথবা শুধু ইথানল জ্বালানি দিয়েই চলবে। এতে পেট্রোল ও ইথানলের মিশ্রণের অনুপাত ইচ্ছামত বদলানো যেতে পারে। কিন্তু বর্তমানে ইঞ্জিন গুলি পেট্রোল ও ডিজেল ইঞ্জিন হওয়ায় ফ্লেক্স ফুয়েল এর ক্ষেত্রে অসুবিধায় হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইঞ্জিন ফ্যাক্টরিতে গিয়ে ইঞ্জিনের কিছু পরিবর্তন করতে হবে। তাহলেই সেটি ফ্লেক্স ফুয়েলে চলবে। ফ্লেক্স ঔ ফুয়েল সম্পূর্ণরূপে বায়োমাস জ্বালানি যা আঁখ বা অন্যান্য বায়োমাস উপাদান থেকে তৈরি। ফলে কোনো পরিবেশ দূষণ হবে না ।অপরদিকে পেট্রোল ডিজেল প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানি এগুলি ব্যবহারে দূষণ হয় বেশি এবং অতিরিক্ত ব্যবহারে একদিন জ্বালানির শেষ হয়ে যাবে। তাই ফ্লেক্স ফুয়েল ব্যবহার করলে বায়োমাস জ্বালানি ও জীবাশ্ম জ্বালানির ভারসাম্য বজায় থাকবে। অন্যদিকে ফ্লেক্স ফুয়েল জীবাশ্ম জ্বালানির চেয়ে অনেক বেশি সস্তা। ফ্লেক্স জ্বালানী ব্যবহার করলে খরচ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কম পড়বে। অর্থাৎ ফ্লেক্স ফুয়েল ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে ।কিন্তু ফ্লেক্স ফুয়েল চালিত গাড়ি শীতকাল বা ঠান্ডা ঠান্ডা এলাকায় স্টার্ট নিতে অসুবিধা হয়। আবার কেন্দ্রীয় সরকার কিছু মাস আগে যানবাহন গুলিকে বৈদ্যুতিক করার ঘোষণা করেছেন ।এর ফলে কোম্পানিগুলি ইতিমধ্যেই যানবাহনকে বৈদ্যুতিক করার জন্য খরচ করে ফেলেছে। ফলে আবার ইঞ্জিনের পরিবর্তন প্রক্রিয়া কষ্টদায়ক ও ব্যয়বহুল হতে পারে।