এবার বঙ্গে প্রবেশ ওমিক্রনের

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ওমিক্রণ এর আশঙ্কায় জেরবার হয়ে যাচ্ছিল গোটা দেশ। যেহেতু আশপাশের রাজ্যে অতি মারির এই নয়া অনেক আগেই ধরা পড়েছে তাই বঙ্গবাসীর মনেও সেই ভয় ছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হলো। প্রথম ধরা পরল কোভিডের নয়া ভেরিয়েন্ট অমিক্রণ। মুর্শিদাবাদের সাত বছরের বালক আক্রান্ত হয়েছে অমিক্রনে জানানো হয়েছে প্রশাসন সূত্রে। তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালে ভর্তি করিয়ে পৃথকভাবে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসা চলছে। তবে আপাতত তার শরীরে কোন উপসর্গ নেই। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে আপাতত সুস্থই আছে ছেলেটি। গত 11 ডিসেম্বর শনিবার মা-বাবা এবং দিদির সঙ্গে আবুধাবি থেকে হায়দ্রাবাদ আসে বিমানে এবং সেখান থেকে কলকাতায় আসে। হায়দ্রাবাদের নামার পর রুটিনমাফিক বিমানবন্দরের সবারই লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় ।মা-বাবা এবং দিদির সঙ্গে মালদহের কালিয়াচকের মামার বাড়িতে ছিল সেই বালক। ফলে কলকাতা বিমানবন্দরে গাড়ি থেকে নেমে সোজা মালদহে পৌঁছে যায় তারা। বুধবার হায়দ্রাবাদ বিমান বন্দরে করা সেই পরীক্ষার ফল আসে এবং তাতে সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও বালকের দেহে অমিক্রণ এর সংক্রমণ পাওয়া যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর গত রবিবার এর পরিবারের সদস্যরা আবার পরীক্ষা করায় এবং যথারীতি তাদের রিপোর্ট আবারো নেগেটিভ আসে। তাহলে শিশুটিকে কি নেগেটিভ হিসেবেই ধরা যেতে পারে সে বিষয়ে ধারণা এখনও স্পষ্ট হয়নি। ওই পরিবার বিমানে করে আবুধাবি থেকে হায়দ্রাবাদ আসে এবং সেখান থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে কলকাতায় এসেছিল। জানা গিয়েছে ওই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে 37 জন যাত্রী ছিল যার মধ্যে 27 জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেছে। 27 জনের মধ্যে 16 জনই এই রাজ্যের বাকি একজন বেঙ্গালুরু চারজন হায়দ্রাবাদ তিনজন মনিপুর একজন মেঘালয় এবং একজন মিজোরামের বাসিন্দা। বাকি 10 জন কে ফোনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু 27 সালের কারোরই শরীরে কোনরকম উপসর্গ না পাওয়া গেলেও তাদের আপাতত কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং আট দিন পরে তাদের আবার নতুন করে পরীক্ষা করা হবে। কেন্দ্রের কাছে এই তালিকা পাঠানো হয়েছে।


 তবে দুবার পরীক্ষা করাই দু'রকম রিপোর্ট আসে সে ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বুধবার বলেন “একটি পরীক্ষা থেকে কখনোই কোন নিশ্চিত সিদ্ধান্ত করে বলা  সম্ভব নয় বলে যে ওই শিশুর করণা নেগেটিভ। নিশ্চিত করতে দুবার পরীক্ষা করানোর দরকার সেই জন্যই আবারো নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।’’ অমিক্রণ স্ট্রেনে আক্রান্তদের কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না বলে চিকিৎসকরা বলেছেন। বেশিরভাগ আক্রান্ত দেরই কোন উপসর্গ নেই এমনকি স্বাদ গন্ধ তেও কোন রকম পরিবর্তন নেই। শিশুদের ক্ষেত্রে সেটি একই রকম থাকে এবং চিকিৎসার ধরনও একই রকমের হয়।


বালকটির মামার বাড়ির সকলেরই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই আরো বেশি করে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং কোভিদ বিধি পালন করতে হবে।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Related News