রাজ্যে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

অন্যান্য রাজ্যে আগেই ধরা পড়েছিল ওমিক্রন, তবে এবার করোনার নতুন প্রজাতির হদিশ মিলেছিল ওমিক্রন আক্রান্তের। আক্রান্ত হয়েছিল এক ৭ বছরের বালক, ছেলেটির বাড়ি মুর্শিদাবাদ। গত শনিবার ১১ই ডিসেম্বর আবু ধাবি থেকে বাবা মা এবং দিদির সাথে আকাশ পথে পাড়ি দেয় হাইদ্রাবাদ বিমান বন্দরে, সেখান থেকে কোলকাতা। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় হায়দ্রাবাদ বিমান বন্দরেই। তবে তাদের নমুনার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়নি বিমান বন্দরে, তারা মালদহে মামার বাড়ি পৌঁছাই। তার পরেই তাদের ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ার খবর মেলে। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি জেলা প্রশাসনের সাহায্যে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। স্বাস্থ্য ভবন সুত্রে জানা গেছে শুধুমাত্র শিশুটির লালা রসেই করোনার হদিশ পাওয়া গেছে।


কিন্তু ওমিক্রন বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনি ওই বালকের শরীরে। হাসপাতালে ভর্তির ২০ ঘণ্টার মধ্যেই সে করোনা মুক্ত হয়ে পরে, তাই হাস্পাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তার বাবা মা এবং দিদিকেও। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে তাদের দুইবার করোনা পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, সেই কারনেই তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের খবর শুনে রীতিমত নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন, অবশেষে স্বস্তি তাদের। পরিবারের ৪ জনকেই বুধবার মালদা মেডিকেল কলেজের কোভিড ওয়ার্ড এ ভর্তি করা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য কর্তা অজয় চক্রবর্তী বলে, “ বৃহস্পতিবার তাদের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়, কিন্তু তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে”। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আপাতত তারা নিভৃতবাসেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। 


অন্যদিকে ওমিক্রন সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি তে ভর্তি করা হয়েছিল ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধকে, এদিন তারও রিপোর্ট সামনে আসে। স্বাস্থ্য ভবন সুত্রে খবর পাওয়া গেছে ওই বৃদ্ধ ওমিক্রন আক্রান্ত নন, তবে তিনি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত শিশুকে ছেড়ে দেওয়া নিয়েও বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “ যেহেতু দুইবার টেস্টের পরেও তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোন হদিশ মেলেনি তাই নিয়ম অনুযায়ী তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবে তারা মালদহের কালিয়াচকে আত্মীয়ের বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকবেন”, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সুত্র মারফৎ জানা গেছে ওই বালকের বাবা আবু ধাবিতে এক বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার। দীর্ঘ দুই বছর করোনার জন্য তারা দেশে ফেরেনি, কিন্তু যখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও হাতের নাগালে সেই সময় দেশে ফিরতে গিয়ে বেধে যায় বিপত্তি। আক্রান্ত শিশুর বাবা এবং মা টিকার দুটি ডোজই নিয়েছেন কিন্তু দিদি এবং ভাইএর বয়স না হওয়াই তারা এখনও টিকা নিতে পারেনি। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সুত্রে জানা গেছে তারা সকলেই সুস্থ্য আছেন, কোন ধরনের উপসর্গ তাদের মধ্যে নেই। ওমিক্রনের খোঁজ মেলার পরেই জানা গিয়েছিল এই নতুন প্রজাতি অতিসংক্রামক হলেও এর ভয়াবহতা কম, আর কম বয়সিদের আক্রান্ত করে বেশি। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটাই বেশি এটা তারও নিদর্শন হতে পারে।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News