পড়াশোনার অংশ হতে চলেছে সাইবার সুরক্ষা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk :

দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলেই বাবা-মায়ের ও আত্মীয়দের সেই একই প্রশ্ন । "এবার কি নিয়ে পড়বি? " "আর্টস না সায়েন্স নাকি কমার্স? "তবে এবার আর্টস, সায়েন্স, কমার্স এর সাথে একটি নতুন বিষয় যোগ হতে চলেছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বইয়ের পাতায়। সেটি হল সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার সুরক্ষা। বর্তমানের যুগ ডিজিটাল যুগ। এই সময় দোকানে কেনাকাটা থেকে শুরু করে দূরের মানুষকে টাকা পাঠানো সুবিধা অসুবিধা সব ক্ষেত্রেই চলছে অনলাইনে ট্রানজাকশন বা ফোনের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ।এর ফলে অনেক বাড়তি সুবিধা হয়েছে। খুব সহজেই কয়েকটি ছোট্ট ধাপের মধ্য দিয়ে গেলেই কাজ হয়ে যায় নিমেষে। ব্যাংকে যাওয়া, এটিএম থেকে টাকা তোলা সমস্ত ঝামেলা আস্তে আস্তে কমছে। তাই এখন ব্যাংক থেকে শুরু করে আর্থিক ব্যবসা-বাণিজ্য লেনদেন সব ক্ষেত্রেই অনলাইন ব্যবস্থাটিকে বেশি গ্রহণ করছে সাধারণ মানুষ। অনেকগুলি সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি এই অনলাইন ট্রানজেকশনে দেখা যাচ্ছে বহু নতুন সমস্যা । ওটিপি শেয়ার বা ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের ছোট্ট কোন ডিটেলস জানাজানি হয়ে গেলে ই হচ্ছে অনেক প্রতারণা ও ভুয়ো একাউন্টে টাকা চলে যাচ্ছে নিমেশের মধ্যে। নানান সাইবার হ্যাকিং এর মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটছে। যাদের সাথে এমন হচ্ছে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন সাধারণ মানুষ এর যাদের এই সাইবার সুরক্ষা ব্যাপারে তেমন বিশেষ কোন জ্ঞান নেই। তাই এবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বিষয়ে সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার সুরক্ষা নামের একটি নতুন চালু করতে চলেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের মাধ্যমে আগে থেকেই এই প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে উপযুক্ত জ্ঞানের সঞ্চার করা।বুধবার সংসদের সভাপতি চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য বলেন,"আগামি বর্ষে যারা একাদশ  ও দ্বাদশ শ্রেণীতে উঠবে তাদের জন্য ইতিমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম মেধা ও ডেটা সাইন্স বিষয় দুটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এ।রপর ২০২৪ সাল থেকে পাঠ্যকমে সাইবার সিকিউরিটি আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে ।কেমন হবে পাঠক্রম তার রূপরেখা তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গেছে এখন থেকে।" তিনি আরো বলেন," ডেটা সায়েন্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মূলত বিজ্ঞান বিভাগের বিষয় ।কিন্তু বর্তমানে আর্থিক লেনদেন সবারই প্রয়োজন এবং সব বিভাগের, সব শ্রেণীর মানুষেরা এর সাথে যুক্ত তাই এই বিষয়ে ন্যূনতম জ্ঞান থাকা এবং সতর্ক থাকা সবারই দরকার। তাই এই বিষয়টি কলা বিজ্ঞান বা বাণিজ্য বিভাগের যেকোনো পড়ুয়া নিতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে কোন বাধ্যবাধকতা থাকবে না। বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থায় বহু নতুন পদ্ধতির নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন এখন বৃত্তিমূলক বিষয়ের উপরে শিক্ষা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সংসদ। তাই এখন বৃত্তিমূলক বিষয়গুলির ওপর পড়াশোনা তে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তেমনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে সেগুলি পরবর্তীকালে পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষায় কাজে লাগবে এবং তাদের পরবর্তী পড়াশোনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে। তাদের মেধা বাড়বে এবং সাময়িক প্রতারণার হাত থেকে তারা নিজেরাও বাঁচতে পারে অপরকেও বাঁচতে সাহায্য করতে পারে। তাই সমাজ সচেতনতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার এটি একটি নতুন ধাপ বলে মনে করছেন তারা।

#Source: online/Digital/Social Media News   # Representative Image

Journalist Name : Srimita Sasmal

Related News