# Pravati Sangbad Digital Desk:
গতকাল রাতে অবশেষে ২০ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষ হয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। হাসপাতালেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ২৪ বছর বয়সী ঐন্দ্রিলা শর্মা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁর কুঁদঘাটের বাড়িতে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। শেষ যাত্রায় তাঁর বাড়িতে বিদায় জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিল টলি পাড়ার বহু অভিনেতা -অভিনেত্রী। হলুদ শাড়িতে সেদিন শেষযাত্রায় সাজানো হয় তাঁকে। সেখানেই ঐন্দ্রিলার সঙ্গে দেখা করানো হয়েছিল তাঁর প্রিয় পোষ্যদেরও। ঠোঁটে রঙ, গালে হালকা মেকাপ দিয়ে , সাজানো হয় তাঁকে। রবিবার বিকেল ৪.৫০ মিনিটে বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। শেষযাত্রাতেও পাশে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী। গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। রাস্তার দুপাশে ঐন্দ্রিলাকে শেষবার দেখার জন্য শত শত মানুষের ভিড় উপচে পড়ছিল। রাত পোহালেই শেষ হয়ে গেলো সব। এই ঘটনায় অভিনেতা গৌরব রায়চৌধুরী যথেষ্ট আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ঐন্দ্রিলা নেই? কল্পনা করতে পারছি না'। রবিবার দুপুর ১২.৫৯-এ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। টলিপাড়ায় নেমেছে শোকের ছায়া। কান্নায় ভেঙে পড়েছে অভিনেত্রীর পরিবার।
শেষ সময়ে যে হাসপাতালে ঐন্দ্রিলা ভর্তি ছিলেন, সেখানেই এক সময়ে অভিনেতা গৌরব ভর্তি হয়েছিলেন। সুতরাং হাসপাতালে কর্মরত একাধিক মানুষের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। তাঁদের মাধ্যমে নিয়মিত ঐন্দ্রিলার খবর নিচ্ছিলেন তিনি। গত বছর করোনার টিকা নিতে গিয়ে গৌরবের হাতে বোন টিউমার ধরা পড়ে। প্রথম দিকে সেটিকে গুরুত্ব না দিলেও পরে ভয়ঙ্কর আকার নেয়। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর মুখের একটি অংশ ফুলে যায়। এরপর অস্ত্রোপচার করে টিউমারটি বের করা হয়। সেই সময়েই হাসপাতালে তাঁর সাথে প্রথম বার আলাপ হয় ঐন্দ্রিলার। তিনিও ওই সময়ে দ্বিতীয়বার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। ঐন্দ্রিলা শর্মার ব্রেন স্ট্রোকের পর অভিনেতা গৌরব ফেসবুকে লিখেছিলেন, 'আমি তখনও শয্যাশায়ী হাসপাতালে। সার্জারি হওয়ার পর দিন আমি অনেক কষ্টে উঠে আস্তে আস্তে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিলাম। হাতে ব্লাডের একটা বোতল গোছের কিছু নিয়ে। হঠাৎ দরজা খুলে দেখলাম ঐন্দ্রিলাকে। ওর সঙ্গে আলাপ ছিল না। ও নিজেই এসেছিল আলাপ করতে। বলল, শুনলাম তোমার সার্জারি হয়েছে এখানে ভর্তি। ওই দিন এই মেয়েটির প্রতি কেনো এতটা স্নেহ আর সম্মান বেড়ে গেল ভিতর থেকে সত্যিই আজও জানি না।
Journalist Name : Papri Chakraborty