প্রাথমিক শিক্ষায় এগিয়ে বাংলা, রাজ্যের মাথায় নতুন পালক

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ঝামেলা চলছেই, এসএসসি প্রার্থী নির্বাচনে বারবার উঠে এসেছে দুর্নীতির কথা। মামলা গিয়েছে হাইকোর্ট এর দরবারে। ঘুর পথে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বেতনের স্থগিতাদেশও দিয়েছে মাননীয় হাইকোর্ট। এত কিছুর মধ্যেও সুখবর রাজ্যবাসীর জন্য, রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। দেশের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষায় এগিয়ে বাংলা। শুক্রবার প্রকাশ হওয়ার পরে রীতিমত উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষক, শিক্ষা দপ্তরের কর্মী এবং অভিবাবকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দীর্ঘ দিন স্বাভাবিক পঠন পাঠন বন্ধও থাকার পর এই বছর ১৬ই নভেম্বর থেকে রাজ্যে খুলেছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের জন্য। কিন্তু বিগত দুই বছরের কাছাকাছি সময় ধরে প্রাথমিক স্কুল বন্ধ করোনা মহামারির কারনে। ক্লাস চলছে অনলাইনেই, তবে এতে যে প্রাথমিক শিক্ষাই খুব একটা হেরফের হয়নি তা বলাই বাহুল্য। উঁচু স্তরের পঠন পাঠন শুরু হলেও আবার চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেক অভিবাবকই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চাইছেন না। অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানে রাজ্যের এই রকম সাফল্য তা সত্যি করেই প্রশংসনীয়। যদিও শিক্ষা ক্ষেত্রে এই পুরস্কার নতুন নয়, এর আগেও রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষা এবং উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের মুকুটে এসেছিল জাতীয় মানের স্কচ পুরস্কার। সম্প্রতি বাংলার মাথায় উঠেছিল আর এক মুকুট। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছিল বাঙ্গালার প্রিয় দুর্গা পুজো। প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ১৬তম বার্ষিক অধিবেশনে বাংলার দুর্গোৎসব বিশ্বের দরবারে বিশেষ সাংস্কৃতিক হেরিটেজ তকমা পেয়েছিলো। পরপর বাংলার মুকুটে নতুন পালকের সংযোজনে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজ্যবাসী।

ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি ইনডেক্স গোটা দেশ জুড়ে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল, আর তাতেই সমস্ত রাজ্যকে হারিয়ে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ। সবার শেষে স্থান পেয়েছে বিহার।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরয় শুক্রবার এই তালিকা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তবে ছোট রাজ্য গুলির মধ্যে শীর্ষ স্থান পেয়েছে কেরল, আর সবার পেছনে ঝাড়খণ্ড। প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যের এই ফল অত্যন্ত আনন্দের বলে দাবি করছেন শিক্ষকদের অনেকেই, তবে তাদের মতে অনেক পড়ুয়াই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকার কারনে অনলাইন পঠন পাঠনে অংশ নিতে পারেনি।

ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি ইনডেক্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সমস্ত রাজ্যের ১০ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। মূলত ৪ ভাগে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল দেশের বড় রাজ্য, ছোট রাজ্য, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চল। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির শীর্ষে লাক্ষাদ্বীপ এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চল গুলির শীর্ষে মিজোরাম। রাজ্যের প্রাপ্ত নম্বর ৫৮.৯০ যা দেশের বড় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ছোট রাজ্য গুলির মধ্যে শীর্ষে থাকা কেরলের ঝুলিতে পড়েছে ৬৭.৯৫ নম্বর।

Journalist Name : Sabyasachi Chatterjee

Related News