এবার বদল জাতীয় শিক্ষানীতিতে। এতদিন পর্যন্ত সাধারণ স্নাতক এবং অনার্স স্নাতক পাঠ্যক্রমের জন্য সময় ছিল তিন বছর, তবে নতুন শিক্ষানীতিতে তিন বছরের বদলে হচ্ছে ৪ বছর। যদিও সাধারণ স্নাতকের ক্ষেত্রে সময় থাকছে তিন বছরই, কিন্তু অনার্স স্নাতকের ক্ষেত্রে এক বছর অর্থাৎ দুটি সেমিস্টার বেড়ে হবে চার বছর। সেই সাথে মিলবে গবেষণা করার সুযোগও। এই নিয়ে গতকাল ইউজিসি বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৩২ পাতার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
সেই নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হয়েছে, প্রতিটি রাজ্য সরকারকে তাঁদের মত দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হবে। অন্যদিকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য, “ইউজিসির নতুন নির্দেশিকা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজন পরিকাঠামো সেই সাথে প্রয়োজন অর্থ”। যদিও শিক্ষামন্ত্রীর দাবি সেই নির্দেশিকা এখনও পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা দফতরের হাতে এসে পৌঁছায়নি এবং নতুন শিক্ষানীতি চালু করার জন্য অর্থের যোগান কীভাবে মিলবে তাও উল্লেখ করা হয়নি। এতদিন পর্যন্ত সাধারণ স্নাতক অর্থাৎ পাশকোর্স এবং অনার্সের ক্ষেত্রে ছয়টি করে সেমিস্টার দিতে হবে যাতে সময় মিলত ৩ বছর। তবে নতুন শিক্ষানীতিতে আরও একটি বছর বাড়ানো হয়েছে।
সেই সাথে বলা হয়েছে, পড়ুয়ারা চাইলে সপ্তম সেমিস্টারের পরে গবেষণা করতেই পারে, তবে সেক্ষেত্রে নুন্যতম ৭৫ শতাংশ নম্বর বাধ্যতামূলক। সূত্রের খবর, পাঠ্যক্রম শেষ হওয়ার পরেই মিলবে এবং কোর্স শেষ করার জন্য সময় মিলবে ৭ বছর।