মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে সঙ্গীতশিল্পী উস্তাদ রাশিদ খানের গাড়ির চালককে আটক করল পুলিশ। সঙ্গীতশিল্পী ওস্তাদ রাশিদ খানের স্ত্রীর কাছে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের (Kolkata Police) বিরুদ্ধে। প্রগতি ময়দান থানায় শিল্পীর স্ত্রী এবং ছোট মেয়েকে হেনস্তার শিকার হতে হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে দোষারোপ, পালটা দোষারোপ।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাতে। চিংড়িঘাটা হয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন সংগীতশিল্পী রশিদ খানের গাড়ির চালক। সেই সময় তাঁর গাড়ি আটকায় বেলেঘাটা ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা (Beleghata Traffic Police)। ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্টে চালকের শরীরে অ্যালকোহলের মাত্রা ধরা পড়ে। এরপরই প্রগতি ময়দান থানায় আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রশিদ খানের চালক ও ম্যানেজার।
শিল্পীর স্ত্রী জয়িতা বসু খানের অভিযোগ, ' মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠান শেষে বাকি শিল্পীদের অন্য শহরে যাওয়ার প্লেন ধরতে হত। বিনয় মিশ্র জি-র প্রথম প্লেন ধরার ছিল। তাঁকে ছাড়তে যাওয়ার সময় বেলেঘাটা-চিংড়িহাটার ওখানে বেশ ট্রাফিক দেখা যায়। অনেক গাড়ি, লরি, টু-হুইলারের পিছনে স্বভাবতই আমাদের গাড়িও আটকে দেওয়া হয়। কিছু টাকা পয়সা চাওয়া হয়। আগের গাড়িগুলি ভালই নগদ গিয়ে দিচ্ছিল। যেহেতু আমাদের ম্যানেজারের কাছে পার্কিং ফি ছাড়া আর টাকা থাকে না তো উনি সেটাই জানান, যে তিনি টাকা দিতে পারবেন না।' শিল্পীর স্ত্রীয়ের অভিযোগ এরপরই হুমকি দেওয়া হয় যে 'হয় পয়সা দে নয়তো ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ কেস দিয়ে দেব।' ড্রাইভারের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই লাইসেন্সের কোনও খোঁজ নেই বলে দাবি শিল্পীর স্ত্রীয়ের।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অ্যালকোহল ব্লোয়ারে চালকের পরীক্ষা করা হয় বলে দাবি। সেখানে ৫৬.৭ শতাংশ অ্যালকোহল ধরা পড়ে।রশিদ খানের স্ত্রীর আরও অভিযোগ, "রাত ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ আমাদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়। থানায় গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। আমার ড্রাইভারের মেডিক্যাল টেস্ট করানোর দাবি করা হলেও কোনও রিপোর্ট দেখানো হয়নি। এরপর উস্তাদ রশিদ খানকেও ডেকে পাঠানো হয়। তিনি ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ প্রগতি ময়দান থানায় পৌঁছন। কিন্তু তাঁকে থানার বাইরে প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্যই আটক করা হয়েছে চালককে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় মত্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।পুলিশের অভিযোগ, থানার মধ্যে অভব্য আচরণ করেছেন ম্যানেজার এবং গাড়ির চালক। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে , গাড়ির সঠিক কোনও কাগজও দেখাতে পারেননি তাঁরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ,গাড়িটি রশিদ খানের নামে। এরপরই রশিদ খানকে প্রগতি ময়দান থানায় ডেকে পাঠানো হয়। দু'জনেই মধ্যরাতে থানায় পৌঁছন। পুলিশের অভিযোগ, রশিদ খানের স্ত্রীর পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয়।কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি (Joint CP) (ক্রাইম) মুরলীধর শর্মা জানান, রাশিদ খানের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।