এসএসসি-র তালিকায় যে ৪০ জনের নাম, রোল নম্বর-সহ ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) এবং মার্কশিট প্রকাশ করা হয়েছে। তা মিলিয়ে দেখে এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম পাওয়া যাচ্ছে। যেমন, বীরভূমের সিউড়ি শহরের বাসিন্দা এক শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে ,ওই মহিলা মুর্শিদাবাদের সুতি ২ ব্লকের একটি কো-এড স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘ওই নামে এক জন বাংলা শিক্ষিকা আমাদের স্কুলে রয়েছেন। তবে, তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন । এসএসসির কোর্টের নির্দেশে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার খবর শুনেছি। শুনেছি সেখানে তাঁর নাম আছে। তবে আমরা কোনও কিছু নির্দেশ পাইনি।’’ একটি প্রথমসারির সংবাদপত্র ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন তাকে না পাওয়া গেলেও তাঁর মা প্রথমসারির ওই সংবাদপত্রকে জানান , ‘‘আমার মেয়ে অন্যায় ভাবে চাকরি পায়নি। কেন এমন ভুয়ো তালিকায় নাম এল, নম্বর বাড়ল, জানি না। আমরা হাই কোর্টে যাব।’’
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর এক শিক্ষিকার নামও উঠে এসেছে ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের তালিকায়। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে তিনিও স্কুলে আসছেন না । তাঁর বাড়ি থেকে স্কুলকে জানানো হয়েছে, মন-মেজাজ ভাল না থাকায় স্কুলে যেতে পারছেন না তিনি। একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান , ‘‘২০১৯ সালে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দেন ওই যুবতী। বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে যা সিদ্ধান্ত হবে, স্কুল সেটাই মানবে।’
এমনকি ওই তালিকা বেরোনোর পরেই আরো একটি অভিযোগ ওঠে , টেটে সাদা খাতা জমা দেওয়ার পরেও মুর্শিদাবাদের ডোমকলের এক ব্যক্তি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন । স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি প্রায় ৬ বছর ধরে শিক্ষকতার চাকরি করছেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ,ওই শিক্ষক বেশ কয়েক দিন ধরে স্কুলে আসছেন না ।
জানা গিয়েছে ,এসএসসি প্রকাশিত ওএমআর শিট অনুযায়ী লাভপুরের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক ৫৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মধ্যে ৫৩ পেয়েছেন। অথচ, ওএমআর শিটে তিনি মাত্র কয়েকটি প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছিলেন।সিউড়ি বাসিন্দা বাংলার শিক্ষিকাও লিখিত পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছেন। তবে, জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষকের থেকে ওএমআর শিটে বেশি সংখ্যক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
এদিকে বিজেপি ও বাম শিক্ষক সংগঠনের নেতারা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছিল, সকলেই জানেন। পেঁয়াজের খোসার মতো সেটা সামনে আসছে। আরও অনেক কিছু দেখা বাকি।’’