ত্রিপুরায় বাজছে ভোটের পটকা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

ভোটের প্রস্তুতি ঘিরে তুঙ্গে সে রাজ্যের ব্যস্ততা। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্যের শাসকদল বিজেপি থেকে শুরু করে বিরোধীরা। জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির সেখানে দুটি জন রথযাত্রা শুরু করেছে। সেই রথযাত্রার সমাপ্তি হবে আজ। যাত্রার সূচনা করতে খোদ ত্রিপুরায় উড়ে গিয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ৬০টি বিধানসভা আসনের উপর দিয়ে ১ হাজার কিলোমিটার জুড়ে বিজেপির এই জন বিশ্বাস যাত্রার আয়োজন করা হয়। শেষদিন অর্থাৎ আজ সেখানে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে তাঁরা ত্রিপুরা রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে৷ আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে, শান্তিপূর্ণ ভাবে হয় সেই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ নিতে বলেছেন CPIM এর রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, "কমিশন যদি বিরোধী দলের পতাকা দেওয়া গাড়িতে ছদ্মবেশ নিয়ে আগরতলা থেকে পনের কিলোমিটার পথ অক্ষত অবস্থায় ঘুরে আগরতলায় ফের ফিরে আসতে পারে কিনা তা আগে চেষ্টা করে দেখুক। শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এর আগে ত্রিপুরায় শান্তিপূর্ণ ভোট করে দেখিয়েছিলেন টি এন শেষন। সেই ভূমিকা এবার গ্রহণ করুক নির্বাচন কমিশন।" একটা সময়ে ত্রিপুরায় দুটি দলই ছিল কংগ্রেস ও সিপিএম। কিন্তু ২০১৮ র নির্বাচনে কংগ্রেসের সব ভোট গিয়ে পড়ে বিজেপির বাক্সে। পক্ষান্তরে কংগ্রেস শূন্য হয়ে যায়। পরে কংগ্রেস থেকে বেড়িয়ে সুদীপ রায় বর্মণ বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি ফের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। ফের ভোট দাঁড়িয়ে জিতেও আসেন। কার্যত সুদীপবাবু মানেই কংগ্রেসের সংগঠন প্রমাণিত। 

মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কার্যালয় সুত্রে খবর, কিছুদিন আগেই কমিশনের দুই আধিকারিক ত্রিপুরায় এসেছিলেন এবং তারপর থেকেই তাঁরা নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছেন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ নিয়ে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই কমিশনের ওই দুই আধিকারিক ত্রিপুরায় এসেছিলেন। সঙ্গে তাঁরা, পুরনো এবং নতুন ভোটারদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতায় নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার বিষয়ে কমিশন খোঁজ নিচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, CPIM, কংগ্রেস ও টিপ্রা মথার প্রতিনিধিরা যেভাবে গত পাঁচ বছর ধরে লোকসভা, পুরভোট, উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের একের পর এক পরিসংখ্যান দিয়েছেন তাতে কমিশন চিন্তিত। অভিযোগ জানানো হয়, শাসক দল BJP ভোট লুঠ করতে মরিয়া। এক্ষেত্রে সর্বশেষ ত্রিপুরায় পুরভোট ও উপনির্বাচন ও ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। যদিও BJP দাবি করেছে প্রতিবারের মত এবারও নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে।

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News