মধ্যমগ্রাম হাসপাতালে নার্সের দায়িত্ব পালনে রোবট

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

নার্স নয়, রোগীদের ইনজেকশন দিচ্ছে রোবট। তাও আবার যত্ন করে। ছবিটা এক জেলার হাসপাতালের। ইনজেকশন দিতে দেখা যাচ্ছে রোবটকে। জানা গিয়েছে, এখন থেকে হাসপাতলে আসা রোগীদের নানা ভাবে পরিষেবা দেবে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রোবট-ই। সংক্রামক রোগীর চিকিত্‍সা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রামিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যেই চালু হয়েছে রোবটিক নার্স।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিমারির সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এই উদ্যোগ। সংক্রামক রোগীর কাছে না গিয়েও তাঁকে ইনজেকশন সহ সমস্ত পরিষেবা দেবে পাঁচ ফুট উচ্চতার এক রোবট। দেহের ব্লাড সহ অন্যান্য স্যাম্পেল কালেক্ট করে, ল্যাবে সেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেবে এই রোবোটিক নার্স নিজেই। পূর্ব ভারতে প্রথম এই পরিষেবা চালু হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকায় রীতিমত তাক লাগিয়েছে এই পরিষেবা। একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। শনিবার নতুন এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। পূর্ব ভারতের মধ্যে নয়া এই পরিষেবা মধ্যমগ্রামে চালু হওয়ায় খুশি মন্ত্রীও। যদিও এই পরিষেবা এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। সম্পূর্ণ পরিষেবা পেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জ্বর মাপতে পারবে। ওষুধ খাওয়াতে পারবে। এমনকী গলা থেকে সোয়াবের মতো নমুনাও সংগ্রহ করতে পারবে। এমনকী চাইলে রোগীর প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারবে। নতুন এই রোবটিক নার্স আর কী করবে? রোগীর কাছে গিয়ে রোগীর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, চিকিত্‍সকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার মত কাজ করতেও সক্ষম হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ পূর্ব ভারতে প্রথম রোবট নার্স পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। একটি বেসরকারি কলেজের পড়ুয়ারা প্রায় দেড় বছরের চেষ্টায় রোবটটি তৈরি করেছে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজ্ঞানী ডঃ অঙ্কুশ ঘোষ। অঙ্কুশ জানালেন, রোাবট তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। আর পাঁচজন সাধারণ নার্সের মতো প্রায় সব কিছুই করতে পারবে যন্ত্রসেবিকা। খাওয়াতে পারবে। ওষুধপত্ দিতে পারবে। মাপতে পারবে জ্বরও। শুধু তাই নয়। ৫ ফুট উচ্চতার ওই রোবট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে হাতিয়ার করে রোগীর নানা প্রশ্নের জবাবও দিতে পারবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাইলে রোবট নার্সের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে প্রাধান্য দেওয়ার পাশাপাশি এইসব বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন সমস্ত স্তরের রোগীদের সমান পরিষেবা দেয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। জেলায় এই পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি বহু মানুষ। আচমকা কেন রোবট নার্স তৈরির পরিকল্পনা? কোভিড কালে দুঃসহ সময়ের কথা উল্লেখ করে ডাঃ অঙ্কুশ ঘোষ জানান, গত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে কোভিডের মতো সংক্রামক রোগের সাক্ষী আমরা। সেই সময় আক্রান্তের কাছাকাছি কারও পৌঁছনোই বিপজ্জনক ছিল। তবু প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নার্স, চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা করেছেন। যান্ত্রিক নার্সের বন্দোবস্ত করলে ঝুঁকি অনেকটাই কমত। সেকথা মাথায় রেখেই রোবট নার্স তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

Journalist Name : Sampriti Gole

Tags:

Related News