বাংলার মিড ডে মিলের মেনুতে এবার মুরগির মাংস,পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

নতুন শিক্ষাবর্ষে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য সুখবর। বদল আসছে মিড ডে মিলের মেনুতে। ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত পুষ্টি দিতে 'পিএম পোষণ' বা মিড ডে মিলে আরও অর্থ বরাদ্দ করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সপ্তাহে চারদিন যাতে পড়ুয়ারা অতিরিক্ত ডিম-মুরগির মাংস-ফল পায় তাই এই ব্যবস্থা বলে খবর।

রাজ্যের সরকারি স্কুলে মিড ডে মিলে ডাল, ভাত, তরকারির সঙ্গে এবার থেকে থাকবে মুরগির মাংসও। এমনকী ফলও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে পড়ুয়াদের মধ্যে। সামনেই এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এটা বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের বলে অনেকে বলছেন।

বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে রাজ্যের ২৪ জেলার জেলাশাসক, কলকাতা পুরনিগমের যুগ্ম কমিশনার, শিলিগুড়ির মহকুমার মহকুমা শাসক-সহ সমস্ত দপ্তরে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পিএম পোষণ প্রকল্পে ৩৭১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ৭৮ হাজার ৪০০ অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

কেন এই অতিরিক্ত টাকা বরাদ্দ করা হল? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৪ দিন পড়ুয়াদের অতিরিক্ত ডিম- মুরগিমাংস-ফল খাওয়ানোর জন্য এই টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। হিসেব বলছে ছাত্র পিছু ২০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিল, ১৬ সপ্তাহে চারদিন ডিম-মাংস-ফল খাওয়ানোর পরিকল্পনা করছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। উল্লেখ্য, মিড ডে মিলের ৬০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র ও ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্য দেয়। যদি ওই বরাদ্দ বৃদ্ধি নিয়ে খুশি নন মাধ্যমিক শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি অনিমেষ হালদার। তিনি বলেন, 'পৌষ্টিক আহারের জন্য সপ্তাহে যে ২০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা অত্যন্ত কম। যেখানে একটা ডিমের দাম ৭ টাকা সেখানে মাংস বা ফল তো পরের কথা। ফলে এই বাজার দরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।'

উল্লেখ্য, রাজ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি পড়ুয়াকে মিড–ডে মিল দেওয়া হয়। মুরগির মাংস এবং মরসুমি ফল যোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি মিড–ডে মিল প্রকল্পে দুর্নীতি কমাতে কেন্দ্রীয় মনিটারিং দল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষামন্ত্রক। বাংলায় একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার পর মিড–ডে মিল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্র। এই টাকার ৬০ শতাংশ বরাদ্দ করে কেন্দ্র। আর বাকি ৪০ শতাংশ আসে রাজ্যের তহবিল থেকেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অল্প সময়কালের জন্য এই সিদ্ধান্ত মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করা হচ্ছে।

Journalist Name : Sampriti Gole

Related News