এবার মিড ডে মিলের মেনুতে জায়গা করে নিচ্ছে মুরগির মাংস এবং ফল

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

রাজ্যের সমস্ত স্কুলে মিড ডে মিল প্রকল্প চলে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে এই মিড ডে মিল প্রকল্পের যথেষ্ট গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। স্কুলে মিড ডে মিলে ডাল-ভাত-তরকারির সঙ্গে থাকবে মুরগির মাংসও। পাশাপাশি ফলও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিড ডে মিল প্রকল্পের মধ্যে নিয়মিত আহারে পুষ্টি বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনের তরফে খাদ্য তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সেই খাদ্য তালিকা মেনেই সমস্ত স্কুলগুলিকে Mid-Day-Meal প্রকল্পে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মিড ডে মিলে নতুন খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত।

হুগলিরই চুঁচুড়া বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে নুন-ভাতের ঘটনা সামনে আসতেই রাজ্য সরকার তৎপর হয়ে ওঠে। নবান্নের নির্দেশ মতোই এই জেলার স্কুলে-স্কুলে মিড-ডে মিলে কোন দিন কী মেনু হবে, তা ঠিক করে দিয়েছেন খোদ জেলাশাসক। তিনি জানিয়েছেন, বুধ এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে কোনও একদিন পড়ুয়াদের পাতে পড়বে আলু-সহ মুরগির মাংসের ঝোল আর ভাত।

জেলার প্রতিটি স্কুলে সোম, বুধ এবং শুক্রবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হবে। এছাড়াও বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ সপ্তাহে একদিন ছাত্র-ছাত্রীদের মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে বাজারদর অনুযায়ী খুচরো বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১৫ টাকা কেজি। সেখানে পাইকারি কিনলে ১০-১২ টাকা কেজি পাওয়া যাবে। ফুলকপি, বাঁধাকপি খুচরো ৫ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ ৫ টাকা ৪৫ পয়সা। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত অর্থাৎ প্রাথমিকের পরবর্তী স্তরে পড়ুয়াদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৮ টাকা ১৭ পয়সা।

হরিহরপাড়া হাইস্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্কুলে প্রতিদিন গড়ে ১৩০০ জন পড়ুয়াকে খাওয়ানো হয়। এখন শীতকালীন আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। ফলে পাইকারি কিনলে অনেকটাই সাশ্রয় হয়। সেই টাকা দিয়ে একদিন পড়ুয়াদের মুরগির মাংস খাওয়ানো যেতেই পারে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, সোমবার নওদার বালি গান্ধী মেমোরিয়াল হাইস্কুলে পড়ুয়াদের পাতে ছিল ভাত, ডাল, আলু কুমড়ো এবং ডিমের তরকারি। এই স্কুলে সপ্তাহে একদিন পোল্ট্রির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ বিশ্বাস। এ বিষয়ে হরিহর পাড়া ব্লকের বিডিও রাজা ভৌমিক জানান, শীতকালীন আনাজের দাম এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তাই সপ্তাহে ৩ দিন ডিম খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনেক স্কুলে মুরগির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এরকম চলবে।

Journalist Name : Aparna Dutta

Related News