সাতসকালে ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীদের বিক্ষোভ

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

আংশিক লকডাউন চালু হতেই প্রথম কোপ পড়ে রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরিষেবায়। প্রথমে ঠিক হয় সন্ধ্যে ৭টার পর আর চলবে না লোকাল ট্রেন। এদিকে রবিবার এই ঘোষণার পরই রবিবার স্টেশনে স্টেশনে শুরু হয় তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ। বড়সড় বিক্ষোভের ছবি দেখতে পাওয়া যায় হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে। এদিকে চাপের মুখে পড়ে অবশেষে শেষ লোকালের সময়সীমা রাত ১০টা পর্যন্ত করতে বাধ্য হয় সরকার। যদিও তারপরেও কমছে না ক্ষোভ। লকডাউনের বিধি-নিষেধের  কারণে একাধিক শাখায় বর্তমানে অনেকটাই কমেছে লোকালের সংখ্যা। বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন জেলার কাঁচা সব্জির ব্যবসায়ী থেকে ফুল বিক্রেতারা। এমতাবস্থায় এবার বড়সড় রেল অবরোধ দেখতে পাওয়া গেল ঠাকুরনগর স্টেশনে।
লকডাউনের বিধি নিষেধের কারণে একাধিক শাখায় বর্তমানে অনেকটাই কমেছে লোকালের সংখ্যা। বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। আর তাতেই সমস্যায় পড়েছে বিভিন্ন জেলার কাঁচা সব্জির ব্যবসায়ী থেকে ফুল বিক্রেতারা। এমতাবস্থায় এবার বড়সড় রেল অবরোধ দেখতে পাওয়া গেল ঠাকুরনগর স্টেশনে।
সূত্রের খবর, দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেনের দাবিতে এদিন ঠাকুরনগরের রেল অবরোধ করেন ফুল ব্যবসায়ীরা। এদিকে এতদিন ভোর ৩টে ১০মিনিটে চলত দিনের প্রথম ট্রেন। তারপর ভোরেই থাকত দ্বিতীয় ট্রেন। কিন্তু কোভিড কোপে বাতিল হয়েছে দুই ট্রেনই। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ফার্স্ট ট্রেন এবং সেকেন্ড ট্রেনে তারা মূলত ফুল নিয়ে কলকাতায় যান। ফুলের ব্যবসা করে তাদের পেট চলে। সকালের দুটোতে ট্রেন না চললে তারা কলকাতায় যেতে পারবেন না। অন্য সময় ফুল নিয়ে গেলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ের পাশাপাশি চাহিদাও থাকে না। যার ফলে টান পড়বে রুটিরুজিতে। ফলে অবিলম্বে এই দুটি ট্রেন চালু করার দাবি জানান তারা। যতক্ষণ না ট্রেন চালানোর প্রতিশ্রুতি মিলবে ততক্ষণ তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

 সূত্রের খবর, এদিন রাত দুটো থেকে ঠাকুরনগর স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন ফুল ব্যবসায়ীর। লাইনের উপর ফুলের বোঝা ফেলে চলতে থাকে অবরোধ। অবরোধ প্রসঙ্গে ফুল বিক্রেতা কল্পনা মন্ডল বলেন, “ফার্স্ট স্ট্রেন, সেকেন্ড ট্রেন ছাড়া আমরা ফুল নিয়ে যেতে পারছি না। এরকম চলতে থাকলে আমাদের এবার না খেয়ে মরতে হবে। লরি করে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না টাকার জন্য। ঘর ভাড়া করেও ওখানে থাকতে পারছি না। আমাদের পয়সা নেই। এদিকে আজকেই ট্রেন বন্ধ থাকায় আমাদের সকলের কয়েক লক্ষ টাকার ফুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের দাবি অবিলম্বে আগের ট্রেনগুলি ফেরাতে হবে।”

 এদিকে, আজকের এই ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত রেলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, লোকাল রেল পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করছেন। তালদি স্টেশনে ইতিমধ্যেই প্রচুর যাত্রী জড়ো হয়েছেন। অন্যদিকে, ঠাকুর নগর স্টেশনেও রেল অবরোধ হয়েছে। অভিযোগ, ক্যানিং থেকে শিয়ালদাগামী প্রথম আপ ট্রেন ৩.৫২ মিনিটে ছাড়ে। সেই ট্রেন না চলার কারণে বহু মানুষ নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারেন নি বলেও জানা যায়।

Journalist Name : Sayantika Biswas

Related News