বাবার কথায় করতেন সই ! কি কি বললেন অনুব্রত কন্যা

banner

#Pravati Sangbad digital Desk:

গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই চার্জশিটেই অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার বয়ানকেই হাতিয়ার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২০৩ পাতার চার্জশিটে যেমন আছে অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির কথা, তেমনই আছে এনামুল হক, আবদুল লতিফ, সায়গল হোসেনদের বয়ান।

     কীভাবে গরু পাচার (Cow Smuggling) হত এবং কীভাবে সেই টাকা অনুব্রতর কাছে এসে পৌঁছতে চার্জশিটে তারই উল্লেখ করেছে ইডি।ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই হিসেবেও রয়েছে চার্জশিটে। শুধু তাই নয়, অনুব্রত কন্যার নামে যেসব সম্পত্তি আছে তাও জানিয়েছে ইডি। ভোলে ব্যোম ও শিব শম্ভু রাইস মিল ছাড়াও আরও দু'টি সংস্থার কথা ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে।ইডির দাবি, গরু পাচারের টাকায় অনুব্রত বেশকিছু বেনামে সম্পত্তি করেছিল। এমনকী মেয়ের নামেও সেই সম্পত্তি ছিল। সুকন্যাকে জেরা করে যেসব তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা, সেই সবকিছুই চার্জশিটে লিখেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি জানিয়েছে, জেরায় সুকন্যা স্বীকার করেছেন যে, বাবার কথাতেই চেক বইয়ে সই করতেন তিনি। এসব ব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই।চার্জশিটে সুকন্যার এই বয়ানকেই হাতিয়ার করছে ইডি। এই চার্জশিটে ইডি দাবি করেছে, গরু পাচারে সুকন্যার ভূমিকাও রয়েছে। তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি, ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে ইডি।


      কীভাবে গরু পাচার চক্র চলত? চার্জশিটে তা বিস্তারিত বর্ণনা করেছে ইডি। এনামুল, আবদুলদের কাছ থেকে সায়গল হোসেনের কাছে আসত গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি। সেই টাকা পরে পৌঁছে যেত অনুব্রতর কাছে। ইডির চার্জশিটে শক্তিগড়ের প্রসঙ্গও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। আসানসোল থেকে দিল্লি যাওয়ার সময় শক্তিগড়ের একটি হোটেলে তৃণমূল নেতা ও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে অনুব্রতকে কথা বলতে দেখা যায়। সেই কথাও চার্জশিটে উল্লেখ করে ইডি।বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হয়েছিল অনুব্রতকে। আসানসোল ফিরতে চান বলে, আদালতে আবেদন করেছিলেন কেষ্ট। এদিন সেই আবেদন মামলার শুনানি ছিল। যদিও আদালত অনুব্রতর আবেদন শোনেনি।

Journalist Name : Ashapurna Das Adhikary

Related News