সমস্ত রাজ্যে লকডাউন হলেও, বিশ্বভারতীকে অতিমারির বাধা-নিষেধ ছুলো এই

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

করোনার ও ওমিক্রন গ্রাফ দিন দিন বেড়েই চলেছে! বাড়ছে সংক্রমন, আর কোভিড সংক্রমণ আটকাতে বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, দর্শনীয় স্থান।  অফিসগুলিতে উপস্থিতি ৫০শতাংশ করা হয়েছে। যানবাহন গুলোতেও ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার কথা বলেছেন সরকার। রাজ্যের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের মত বন্ধ করা হয়েছিল বিশ্বভারতী-ও।  বিশ্বভারতীর পঠন-পাঠন ডিসেম্বর মাসে অফলাইনে চলছিল। এরপর সেই পঠনপাঠন বন্ধের সাথে সাথে গত ১১জানুয়ারি বন্ধ করা হয়েছে, সেখানকার সেন্ট্রাল অফিস ও পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এই সমস্ত জায়গায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৫ই জানুয়ারি অনলাইন বৈঠকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী জানান সেন্ট্রাল অফিস ও পিয়ারসন হাসপাতাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রাজ্য থেকে দেশ সর্বত্র করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর দির্ঘদিন বন্ধ ছিল বিশ্বভারতী। এরপর অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলে ২০২১ এর ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু করা হয়।  কিন্তু আবার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ই জানুয়ারি পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে মঙ্গলবার বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ একটি ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন। জানা যাচ্ছে, যে বৈঠকের মূল বিষয় ছিল পুনরায় বিশ্বভারতীর সচল করার বিষয়ে-এমনটাই জানা যাচ্ছে। এই বৈঠকে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী বন্ধের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেখনাকার পড়ুয়ারা অফলাইন ক্লাস করতে চায়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে চিন্তিত বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।

বিশ্বভারতীর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১২ই জানুয়ারি থেকে সেখানকার সমস্ত কর্মী-অধিকারিক কাজে যোগদানের কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে তাও স্থগিত করা হল। এছাড়া গতকাল বৈঠকে  আগামী ১৫ই জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খোলার বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ১৮ই জানুয়ারি করা হয়েছে। পঠন-পাঠন শুরু করার বিষয়ে মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে সাথে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বিশ্বভারতীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।

বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরী পরিষেবা ছাড়া শিক্ষক-অশিক্ষক,অন্যান্য সকল কর্মীরাও বাড়ি থেকে তাদের কাজ করতে পারবেন। এছাড়া আরও জানান, যতদিন না করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমছে ততদিন সশরীরের বদলে অনলাইনে পঠন- পাঠন চলবে।অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, যদি কোন কর্মীর অসুস্থতা বোধ বা কোন উপসর্গ লক্ষ্য করা যায় তাহলে তিনি যেন সশরীরে অফিসে আসার আগে বিশ্বভারতীর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসারকে নিজের রিপোর্ট জমা দেন।

Journalist Name : Aditi Sarker

Related News