সুপ্রিম কোর্টে করোনার থাবা

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

বিশ্বের অসংখ্য দেশ করোনা কামড়ে জর্জরিত, প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার এত বাড়বাড়ন্তের পেছনে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন। ইতিমধ্যেই অনেক দেশ করোনার তৃতীয় ঢেউ কাটিয়েও উঠেছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা করেছে ব্রিটেনে আর মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়, স্বাভাবিক ছন্দের ফিরছে ব্রিটেন। কিন্তু ভারত এখনও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রয়েছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়ঙ্কর না হলেও, সঙ্ক্রমণের নিরিখে আগের দুটি ঢেউকে অনায়াসে টেক্কা দিচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত ৩ লাখ ১৭ হাজারের ঘরে, যদিও আশা জাগাচ্ছে সুস্থ্যতার সংখ্যাও। ভারতে একদিনে করোনা মুক্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৯০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৯১ জনের। অনেক চিকিৎসক দাবি করছেন চলতি মাসের শেষের দিকে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউ তার শিখর ছুঁয়ে ফেলবে, আর তার পরেই দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসবে। পুরোপুরি কমতে মার্চ মাস হয়ে যাবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকেরা। আইসিএমআর এর অতিমারি বিভাগের প্রধান সমীরণ পাণ্ডার মতে, ভারতে করোনা মার্চ মাসের মধ্যেই একটি সাধারণ রোগে পরিণত হবে। যদি দেখা যায় ভারতে ওমিক্রনের সূচনা হয়েছিল ১১ই ডিসেম্বর তাহলে ৩ মাস এর প্রভাব থাকবে।

এত কিছুর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালতের ১০ জন বিচারপতি, গত ৯ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন, এছাড়া আরও ৪০০ জন কর্মী করোনা আক্রন্ত। স্বাভাবিক ভাবেই শীর্ষ আদালতের কাজকর্মে প্রভাব পড়েছে কিছুটা হলেও। করোনা আক্রান্ত বিচারপতিদের মধ্যে ২ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে যাদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

জানা গেছে সুপ্রিম কোর্টে সংক্রমণের হার ৩০ শতাংশের বেশি। ইতিমধ্যেই আদালত চত্বর স্যানিটাইজ করা হয়েছে, ডাঃ শ্যাম গুপ্তর নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দল আক্রান্ত বিচারপতি এবং শীর্ষ আদালতের কর্মীদের দেখা শোনা করছে। একই সঙ্গে এত জন বিচারপতি এবং কর্মীদের সংক্রমণের ফলে বিচার ব্যাবস্থা বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শীর্ষ আদালতের কর্মীদের প্রত্যেকের আরটিপিসিআর টেস্ট করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Journalist Name : Sagarika Chakraborty

Tags:

Related News