খুলতে চলেছে স্কুল ! কিন্তু কোন কোন ক্লাস নিয়ে চালু থাকবে ? জানুন বিস্তারিত

banner

#পশ্চিমবঙ্গ:

করোনা আবহে খুলেছে প্রায় অনেক কিছুই। যেমন - রেস্তোরাঁ, দোকান, শপিং মল, সিনেমা হল, প্রভৃতি। কিন্তু এখনো বন্ধ সবকটিই  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এর জেরেই সোস্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাস্তা ঘাটে নেমে চলছে প্রতিবাদী বিক্ষোভ। সেই পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেওয়ার জন্যই এবং শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই চিঠিতে আপাতত নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষা দফতরের স্কুল খোলার প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যে করোনা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গেও কথা হবে। ইতিমধ্যেই সেই কথা বলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। 
দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে মহারাষ্ট্রের অবস্থা বাংলার থেকে খারাপ বললেই চলে। দিন-দিন মুহূর্তে-মুহূর্তে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আগামী সোমবার থেকে মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। 

করোনা পরিস্থিতির জেরে ২০২০ সালের মার্চের শেষ থেকে রাজ্যে বন্ধ স্কুল-কলেজ। নিয়মিত ক্লাস চলছিল অনলাইনের মাধ্যমেই। তবে প্রকোপ কিছুটা কমায় দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলেছিল। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্লাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ফের তা বন্ধ হয়ে যায় এবং আবার পুনরায় অনলাইনে ক্লাস চলতে থাকে। কিন্তু এই ক্রমাগত অনলাইন ক্লাসে কিছুটা হলেও নাজেহাল হয়েছেন শিক্ষক সহ বেশকিছু পড়ুয়াও। তাদের দাবি , "অনেক সময়েই নেটওয়ার্ক সমস্যার কারনে অনলাইন ক্লাসে বিগ্ন ঘটে, তার জন্য ঠিকমতো পড়ুয়ারা ক্লাস করতেও পারে না।" অনেকে এও দাবি করেছেন যে," অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে প্র্যাকটিক্যাল প্রশিক্ষণে সমস্যা হয়। সেই ভাবে নতুনত্ব কিছুই শিখে উঠতে পারছেন না পড়ুয়ারা।" অনেকে বলছেন, "করোনাকালে যদি রেস্তোরাঁ, শপিং মল, খোলা যেতে পারে তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি কি দোষ করেছে?" 
ইতিমধ্যেই রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে একটি ছাত্র সংগঠনের তরফে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে স্কুল খোলার দরকার বলে দরবার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকার ফলে একদিকে যেমন স্কুল ছুটির সংখ্যা বেড়েছে, অন্যদিকে বাল্যবিবাহও বেড়েছে। এছাড়াও শহরে, ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে অনলাইনের ক্লাস হলেও গ্রামে তা সম্ভব হচ্ছে না।

Journalist Name : Sayantika Biswas

Tags:

Related News