পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আবার ঘূর্ণিঝড়, মার্চেই আছড়ে পড়বে "সিতরাং"

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

২০২১ এর আম্ফান এর প্রভাব এখনও ভালোভাবে কাটেনি বলা চলে। এছাড়াও '২১ এর সারা শীত ভুগিয়েছে বৃষ্টিতে। তার ওপর দোল আসতে না আসতেই গরমের তেজ। বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাসে জানা যাচ্ছে দিন যত যাবে প্রকৃতি ততই অশান্ত হবে। আর তার প্রভাব ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। মার্চের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে "সিতরাং" আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।  ২৩ মার্চের পরে যে কোনও দিন এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এবং এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘন্টায় ১৫০ কিমি। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, যে ঝড় এখনও তৈরিই হয়নি, সেখানে তাঁর গতিপথ কিংবা শক্তি কেমন হবে, সেসম্পর্কে অনুমান করা যথেষ্টই কঠিন। আর অনুমান করে কিছু বলাটাও ঠিক নয়। তবে উষ্ণতা যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে বলা চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি একটা হবেই। এর আগে এই মরশুমে অনেক ঝড় তৈরী হলেও তা বারবার বিলীন হয়ে গেছে সমুদ্রে। তাই এই বিষয় নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলেই জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন উপকূলের শহরগুলি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত হয়েছে, ভবিষ্যতে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এইসব জায়গায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও জনসংখ্যার চাপ রয়েছে। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির প্রভাবে উপকূল এলাকাগুলি প্রথমে জলের তলায় চলে যাবে। এছাড়াও বানের জলে বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হবে।

সমুদ্রে জল ঢুকে পড়ায় নোনা জলে বাস্তুতন্ত্র এবং চাষ আবাদের ক্ষতি হবে। বাড়বে ভাঙন এবং উপকূল এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ। ২১০০ সালের আগে উপকূলের শহর এবং বসতিগুলি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা না নিলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হয়ছে অনেকটাই। ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা বাড়বে, গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ও বাড়বে। ঝড়ের কারণে প্রভাবিত হবে উপকূলবর্তী এলাকা এবং দ্বীপাঞ্চল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জনবসতি এবং অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা, জল ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি ও সংস্কৃতি ভেঙে পড়বে। এই পরিবর্তন ছোট দ্বীপগুলির জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে বলেও ব্যাখ্যা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Tags:

Related News