সিজারিয়ান বেবী কমানো দরকার, বলছে সরকার

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সরকারি হাসপাতালে কেন মাত্রাতিরিক্ত সিজারিয়ান বেবি, তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। কারও সন্তানপ্রসবের ক্ষেত্রে আদৌ সি-সেকশন ডেলিভারির প্রয়োজন রয়েছে কিনা, এই তথ্যই এবার জানার চেষ্টায় নামবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যজুড়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে চলবে এই অডিট। প্রসঙ্গত, সিজেরের পর স্বাভাবিক প্রসবের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল গর্ভাশয়ের ফেটে যাওয়া। এই প্রক্রিয়ার সময় কোনও মহিলার গর্ভাশয় ফেটে গেলে অধিক রক্ত ক্ষরণ হয় এবং তাঁর শরীরের রক্তাল্পতা দেখা দেয়। পাশাপাশি শিশুর ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সিজার স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। মা ও শিশু দুজনের স্বাস্থ্যের উপরই প্রভাব পড়ে। শিশু মস্তিষ্কের বিকাশ ধাক্কা খায়। স্বাভাবিক প্রসবের সদ্যোজাতের আইকিউ বেশি হয়। ২০১৫ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, শিশুমৃত্যু কমানোর ক্ষেত্রে সিজারের কোন‌ও অবদান নেই। তাহলে ১০-১৫ শতাংশের বেশি সিজারের হার কেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে স্বাস্থ্য দফতর। পশ্চিমবঙ্গে শুধু সরকারি ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের হার ৩৪ শতাংশ।


বেসরকারি ক্ষেত্রে তা দ্বিগুণ। এ ছাড়াও ভি বি এ সি প্রক্রিয়া সফল না-হলে ব্লাড ট্রান্সফিউশান করাতে হতে পারে এবং গর্ভাশয়ে সংক্রমণের ঝুঁকিও থেকে যায়। গর্ভাবস্থার সময় কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা বা জটিলতার কারণে অনেক গর্ভবতী মহিলাকে সি সেকশান বা সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে হয়। এক বার সি সেকশান হলেই যে নর্মাল ডেলিভারির সমস্ত পথ বন্ধ, তা কিন্তু নয়। গর্ভবতী স্ত্রীর স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের সি সেকশান বা নর্মাল ডেলিভারি করা যায়। এই প্রক্রিয়াকে ভাজাইনাল বার্থ আফ্টার সিজারিয়ান বলা হয়। তবে মনে করা হচ্ছে, স্বাস্থভবনের এই নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়তে পারেন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো। কারণ, এখন স্বাভাবিক প্রসবের তুলনায় সিজারের সংখ্যা বেশি। তাছাড়া, সিজারের খরচও তুলনামূলক বেশি।

Journalist Name : Aankhi Banerjee

Related News