নতুন পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তি গীতা, রামায়ণের অধ্যায়ের, এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের শিক্ষামন্ত্রী

banner

#Prabhati Sangbad Digital Desk:

প্রাচীন ইতিহাসের অনেক মৌলিক অধ্যায় বর্তমান শিক্ষাথীদের কাছে অজানা। বৈদিক যুগে বিদ্যালয় গুলিতে সে পাঠ পড়ানোর  প্রচলন থাকলেও বর্তমানে তা নেই। আর ইংলিশ মিডিয়াম যুগে সে সবকিছুর শোনছে পরিচিত হতে পারছে না আজকের পড়ুয়ারা। ফলত, প্রাচীন ইতিহাস তাদের কাছে অজানা থেকে যাচ্ছে।
কিন্তু এবার পাঠ্যসূচীর  রদ বদলাতে চলেছে উত্তরাখন্ড সরকার। নতুনত্ব হিসেবে পাঠ্য থাকবে রামায়ণ, মহাভারত, গীতা ছাড়াও বেদ। এছাড়াও রাজ্যের ইতিহাস সম্পর্কে নানা তথ্য থাকবে পাঠ্য বইয়ে। সোমবার সংবাদ সংস্থা এ এন আই কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী ধন সিং রাওয়াত। তিঁনি বলেছেন, " আমরা প্রথম রাজ্য হিসাবে এই বছর জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু করতে চলেছি। জনতা এবং শিক্ষাবিদদের পরামর্শ নিয়ে আমরা পাঠ্যক্রমে গীতা, রামায়ণ ও বেদ অন্তর্ভুক্ত করছি"। তিঁনি কেন্দ্রের শিক্ষানীতির প্রশংসা করে বলেছেন এই নতুন শিক্ষানীতিতে সিলেবাসের ৪০ শতাংশ বিষয় নির্ধারণের স্বাধীনতা থাকবে রাজ্যগুলির হাতে।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে ভারতের ইতিহাস ও ঐতিহ্য এর উপর নির্ভর করে শিক্ষাথীদের জন্য নতুন পাঠ্য বই তৈরী করা হবে। জাতি , ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যুব সমাজ ও পড়ুয়াদের মহাভারত, রামায়ণ, গীতার শিক্ষা দেওয়া উচিত। এর ফলে আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর তাদের মূল্যবোধ ও মনোবল তৈরী হবে।
কিন্তু পাঠ্যবইয়ে গীতা রামায়ণ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় উঠেছে বিতর্ক। বিরোধী দলের অভিযোগ, বিজেপি সরকার  শিক্ষার গৌরীকরণ ঘটাচ্ছে এর এর নেপথ্যে রয়েছে হিন্দুত্ববাদের  অ্যাজেন্ডা। তবে পাল্টা জবাবে শাসকদল জানিয়েছেন গীতা কোনো ধর্ম গ্রন্থ নয়। এটি হিন্দুত্ববাদের জলজ্যান্ত দলিল, জীবন দর্শনের দর্পণ। ফলত হিন্দুদের আবেগের কথা মাথায় রেখেই বিরোধীপক্ষ সরাসরি এর বিরোধিতা করছে । ভারতের মহাকাব্যগুলি 'বৈজ্ঞানিক সত্যের আধার '। ভারত তথা হিন্দুত্ব দেশের দাবী, এই পাঠ বর্তমান সংস্কৃতির যে দূষণ তা ঘুচাতে পারবে। এছাড়া অতীতের যে ইতিহাস তা ছোট থেকেই শেখানো উচিত। তাই পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর বইয়ে বিভিন্ন  অধ্যায়ে উপরোক্ত বিষয়গুলি পড়ানো হবে। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতাকে যুক্ত করেছে গুজরাট। গুজরাট সরকার বলেছেন পড়ুয়াদের গীতা পাঠ পড়ানো হলে তারা ভারতের সভ্যতা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। বর্তমানে কর্ণাটক ও সে পথেই হাটছে ,সূত্রের খবর অনুযায়ী।

Journalist Name : Sayani Chatterjee

Related News