Flash news
    No Flash News Today..!!
Sunday, May 12, 2024

ন্যায় বিচারের সাহসী গল্প - “জয় ভীম”

banner

#Pravati Sangbad Digital Desk:

সংবিধান – সভায় তার শেষ বক্তৃতায়, বি. আর. আম্বেদকর এটি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, ভারত একটি প্রতিবাদী জীবনে প্রবেশ করবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যখন আমরা রাজনীতিতে এক হবো(একটি মানুষ, একটি ভোট, একটি মূল্য) তখন আমরা সেই একতাকে অস্বীকার করবো। আম্বেদকর দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতেন যতক্ষন অব্দি কেউ সামাজিক স্বাধীনতা অর্জন না করে ততক্ষন অব্দি আইন ধারা পাওয়া স্বাধীনতা কোনো কাজে আসে না।

নেটিজেনরা ইতিমধ্যেই যাকে নাম দিয়েছে “মাস্টারপিস”, সেই “মাস্টারপিস” আসলে পরিচালক টি.জে. গ্যানানভেলের “জয় ভীম” । অভিনেতা সূরইয়া দর্শকদের মন ইতিমধ্যেই জয় করেই ফেলেছেন। পরিচালক টি.জে. গ্যানানভেলের “জয় ভীম” সিনেমাটির মধ্যে দিয়েই দর্শকরা সাক্ষী থাকেন তামিলনাড়ুতে ৯০ যের দশকে ঘটে যাওয়া একটি জঘন্য ঘটনার।


অভিনেতা সূরইয়া (চন্দ্রু) একজন আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করে রীতিমতো নিজের জন্য দর্শকদের মনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে নিয়েছেন। অভিনেতা সূরইয়া ছাড়াও অভিনেতা প্রকাশ রাজ, রাও রামেশ, অভিনেত্রী লিজমোল যশ, প্রভৃতি সকলেরই অভিনয় সমান প্রশংসা লাভ করেছে।

নেটিজেনরা পরিচালক টি.জে. গ্যানানভেলকে অনেক ধন্যবাদ ও প্রশংসা জানিয়েছেন, কআরও “জয় ভীম” সিনেমাটির মধ্যে দিয়ে যে সত্যি পরিচালক দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছেন, তা যে শুধু আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছে তা নয় বরং আমাদের এটাও শিখিয়েছে অন্যায়ের ক্ষমতার থেকে মানুষের মনের জোর, সত্যতা অনেক বেশি দামি। অন্যায়কে না বলতে শিখিয়েছে, শিখেয়েছে অন্যায়ের সামনে মাথা নিচু করে না দাঁড়িয়ে রুখে।


 তিন ঘণ্টার এই সিনেমায় একটি গায়ে কাঁটা দেওয়া, হাড়-কাঁপানো মুহূর্ত আসে যখন ইরুলার সম্প্রদায়ের মহিলাটি অন্যায় ক্ষমতার কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়ে এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ শুরু করে। এটি মূলত একটি "গণ" দৃশ্য যা একটি দলিত চরিত্রের জন্য তাকে তার নিপীড়কদের চোখের দিকে তাকানোর সুযোগ দিতে এবং সম্ভবত তাদের বলতে পারে: “আমাকে আপনি ভাঙতে পারবেন না...। “ 

পরিচালক টি.জে. গ্যানানভেল দর্শকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, “এই সিনেমাতে তার অভিনবত্ব বলে কিছু নেই, এইটি একদল মানুষের সাথে ঘটে যাওয়া একটি সত্য ঘটনা। “ 


লিজমল যশ খুব সুন্দর ভাবে সেনগেন্নির ভূমিকায় অভিনয় করে চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন। “জয় ভীম” সিনেমাটি দেখা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। যৌন হিংস্রতা, জোর – জুলুম,অতিরিক্ত অত্যাচার, অন্যায়ের বিরুদ্ধে শ্বাসরোধ করে লড়াই, দর্শকদের গায়ের লোম দাঁড় করিয়ে দিয়ে, হাড় কাঁপানো মুহূর্ত তৈরি করে তোলে।

জয় ভীম ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প নথিভুক্ত করে। এটি উদাসীনতা এবং বৈষম্যের কথা বলে যা একটি সমাজ হিসেবে আমরা স্বাভাবিক করেছি। “জয় ভীম” য়ে অনেক ভালো জিনিসও কল্পনা করা হয়েছে যেমন, পুলিশকে তাদের ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশ করতে বাধা দেওয়া হয়, বন্দি করে রাখা হয়, ঠিক যেমন মন্দিরের গর্বগৃহে সবাইকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না, বন্দি রাখা হয়। এবং সেই অন্ধকার ঘরগুলো নিপীড়িতদের কাছে অনেক দূরের এবং অনেক দুর্গম। 


ফিল্মের শেষ কয়েক মিনিটে, চন্দ্রু আবেগের সাথে বলেছেন যে সাজা মামলার রায় নিছক রায় নয় বরং একটি অবহেলিত সম্প্রদায়ের জন্য আশা।

সিনেমাটি শেষ হয়  বি. আর আম্বেদকরকে নিয়ে একটি মারাঠি কবিতা দিয়ে, “Jai Bhim is light. Jai Bhim is love.’ Jai Bhim is also hope. Hope.”


Journalist Name : Sayantika Biswas

Related News