#Pravati Sangbad Digital Desk:
চলতি বছরের 7 মার্চ শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং শেষ হয়েছিল 16 ই মার্চ । পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী 90 দিনের মাথাতেই ফল প্রকাশিত হয়ে যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার, এবছরও ঠিক সেরকমই হল। গতবছর করোনা মহামারীর কারণে অনলাইনে মোডে পরীক্ষা হয়েছিল এবং কোন মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি পর্ষদ এর পক্ষ থেকে। এই বছর পরিস্থিতি ঠিক থাকায় সমস্ত কোভিড বিধি মেনে পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দিতে হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। এবার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯হাজার এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪। কিছুদিন আগে পর্যন্ত পর্ষদ এর পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেয়া হয় জুনের প্রথম সপ্তাহতেই ফল প্রকাশ করা হবে মাধ্যমিকের, সেই মতই গত ৩১শে মে জানানো হয় ৩রা জুন ফল প্রকাশ করা হবে। পড়ুয়া জীবনে প্রথম বড়ো পরীক্ষা হল মাধ্যমিক তাই এই নিয়ে অভিভাবক স্তর থেকে শুরু করে পড়ুয়া স্তর সব জায়গাতেই থাকে উত্তেজনা। এই পরীক্ষা দিয়েই শুরু হয় জীবন তৈরির ধাপ। প্রতি বারের মতন এবছরও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে সকাল ন'টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং সকাল ১০ টা থেকে wbbse.wb.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে মার্কশিট ডাউনলোড করা যাবে বলে জানানো হয়েছিল।
এই বছরের সবথেকে বেশি পাশের হার পূর্ব মেদিনীপুরে, যা প্রায় সংখ্যায় ৯৭ .৬৩ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় স্থানে আছে কালিম্পং এবং তৃতীয় স্থানে আছে পশ্চিম মেদিনীপুর যেখানে পাশের হার যথাক্রমে 94.27 ও 94.62। জানা গেছে এইবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার কোন ফল অসম্পূর্ণ নেই ,পাস করেছে ৮৬.০৬ শতাংশ। ৭০০ তে ৬৯৩ পেয়ে অভূতপূর্ব ফল করে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে বাঁকুড়ার অর্ণব গড়াই এবং বর্ধমানের রৌণক মন্ডল। অর্ণব বাঁকুড়ার রাম হরিপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র এবং রৌণক বর্ধমানের সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র। দুজনেই মফস্বলের ছাত্র যাদের ফলাফল দেখে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে শুরু করে পরিবার পরিজন সবাই। দ্বিতীয়ও হয়েছেন দু'জন পড়ুয়া কৌশিকী সরকার এবং রৌণক মন্ডল যাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৯২। তৃতীয় স্থানে আছে পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান। 690 পেয়ে চতুর্থ হয়েছে চারজন এবং পঞ্চম স্থানে ৬৮৯ স্থান পেয়েছে মোট ১১ জন পড়ুয়া তারা হলেন শুভ্র দত্ত, পৌলোমী বেরা, সামিয়া ইয়াসমিন, আর্যিনি সাহা, অনিন্দ্য সাহা, জেনিফার রানা, আরমান ইশতিয়াক আলী, দেবদত্ত কুন্ডু, ধ্রুবজিৎ সাহা এবং সম্রাট মন্ডল। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে 6 জন যাদের সকলেরই প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৮ এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে ১০ জন যাদের প্রাপ্ত নাম্বার ৬৮৭। অষ্টম হয়েছে মোট ২২ জন এবং নবম হয়েছে ১৫ জন যাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ৬৮৬ এবং ৬৮৫। মেধা তালিকায় দশম স্থান জুড়ে আছে মোট ৪০ জন পড়ুয়া যাদের সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর 684। প্রতিবছর পড়ুয়াদের সুবিধার্থে কথা মাথায় রেখে তাদের প্রস্তুতির সুবিধার জন্য আগের বছর ফলাফলের দিনই জানিয়ে দেওয়া হয় পরবর্তী বছরের পরীক্ষার নির্ঘণ্ট, এই মতোই এই বছরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হবে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে।