#Pravati Sangbad Digital Desk:
হুল দিবস উপলক্ষে পিছল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার স্নাতক স্তরে পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল; সেই পরীক্ষাগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বুধবারই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে আজকের স্নাতক স্তরের যে পরীক্ষাগুলি নেওয়ার কথা ছিল সেগুলো পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।পরীক্ষাটি হবে ৪ অগস্ট এবং পাশাপাশি স্নাতকোত্তর স্তরের যে পরীক্ষাগুলি হওয়ার কথা ছিল সেগুলোও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে হুল দিবসের জন্য। স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষাগুলো কবে নেওয়া হবে তা এখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পড়ুয়াদের একাংশ, তাঁদের প্রশ্ন, পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা আগে এরকম ঘোষণা করা হচ্ছে কেন? তাতে তো প্রস্তুতি ব্যাহত হচ্ছে। অন্য দিকে, কবে পরীক্ষার ফল বেরোবে, সেই নিয়ে সংশয়ে শিক্ষকরাও।অনলাইন-অফলাইন পরীক্ষার দ্বিধাবিভক্তি নিয়ে আগেই উত্তপ্ত ছিল পরিস্থিতি। এভাবে হঠাৎ পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করতে নারাজ অনেকে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে পড়ুয়া এবং অধ্যাপক মহল।
হুল দিবসে সব পরীক্ষা স্থগিতের পথে হাঁটল মধ্যশিক্ষা পর্ষদও। বুধবার রাতেই এব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আজকের স্থগিত রাখা পরীক্ষাগুলি নিয়ে নিতে হবে স্কুলগুলিকে। এদিকে, হুল দিবসে ছুটি ঘোষণা করে আগেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, রথের জন্য শুক্রবারও ছুটি থাকতে পারে। ফলে হুল আর রথ মিলিয়ে পর পর দু'দিন ছুটি। তারপর পড়ে যাচ্ছে শনিবার ও রবিবার। ফলে টানা চারদিন ছুটি পেয়ে যাবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যদিও আজ স্কুল খোলা থাকছে। পাশাপাশি সংসদ ছুটির কথা ঘোষণা করলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে কোনও ছুটির কথা জানানো হয়নি। তাই পড়ুয়ারা বিভ্রান্ত।
প্রসঙ্গত, হুল দিবস হল সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অন্যতম উল্লেখযোগ্য দিন হিসাবে গণ্য করা হয় ৩০ জুনকে। ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায় সাঁওতাল বিদ্রোহ বা ‘সান্তাল হুল’-এর সূচনা হয়।
Journalist Name : SRIJITA MALLICK