বাংলাদেশের
জাতীয় ফুল শাপলা। আর গ্রাম বাংলার
এই উদ্ভিদেই রয়েছে হাজারের বেশি গুনাগুন। বিশেষ করে রক্ত জনিত নানান রোগ দূরে রাখতে এটি কার্যকরী। তাই মরশুম বদলের দিনে শরীর সুস্থ রাখতে রোজকার মেনুতে রাখুন শাপলার নানান পদ। চিকিৎসকদের মতে পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই শাপলায় আছে
প্রচুর পরিমানে ক্যালশিয়াম, খনিজ পদার্থ, ক্যালোরি প্রোটিন, শর্করা, ক্যালশিয়াম ও গ্যালিক অ্যাসিড
এনজাইম যা ক্যানসার সহ
বহু রোগ নিরাময়ে কার্যকরী।
জানুন
কী কী রোগে কার্যকরী
এই ফুল-
১.
চিকিৎসকদের মতে শাপলা যেকোনো রক্ত জনিত রোগ নিরাময়ে কার্যকরী। বিশেষ করে পিত্তজনিত কারণে রক্ত দূষিত হলে নিয়মিত খান লাল শাপলা। মিলবে উপকারিতা।
২.
শাপলাতে রয়েছে ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইড নামক উপাদান। যা মাথায় রক্ত
সঞ্চালনে সাহায্য করে, পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রাখে।
৩.
অতিরিক্ত পিপাসা দূর করে, হৃদরোগের কার্যকারিতা বাড়ায় ও শরীর ঠান্ডা
রাখে।
৪.
রক্ত মল, আমাশয়, পেট ফাঁপা ও প্রস্রাবের জ্বালা
পোড়ার সমস্যা কমায়।
৫.
এছাড়াও দেহের ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ দূর করতে এই ফুলের জুড়ি
মেলা ভার।
খাবেন
কিভাবে-
গ্রামবাংলার
এই উদ্ভিদ যেমন উপকারী তেমনই খেতেও সুস্বাদু। তাই এই মরশুমে দুপুরের
মেনু জমিয়ে নিতে বানিয়ে নিতে পারেন শাপলা ফুলের চচ্চড়ি। সেই রেসিপিও রইলো আপনাদের জন্য।
এছাড়াও
ভালো ফল পেতে কিছুটা
পরিমান শাপলা ফুল ও সমপরিমান জল
মিশিয়ে ছেঁকে সেই জল দিনে ২-৩ বার খেলে
মিলবে ফল।
জেনে
নিন শাপলার চচ্চড়ি বানাতে কী কী লাগবে-
১
বাটি শাপলা। স্বাদ মতো নুন। ৪-৫ টেবিল
চামচ সর্ষের তেল। শুকনো লঙ্কা। সামান্য কালো জিরে, হলুদ গুঁড়ো, চিনি। নারকেল কোড়া। সর্ষে বাটা। চেরা কাঁচা লঙ্কা।
প্রণালী-
শাপলা
চচ্চড়ি বানানোর জন্য প্রথমে শাপলা ডাটা গুলো ভালো করে নুন মাখিয়ে রেখে দিন। এবারে কড়াইতে তেল গরম করে তাতে শুকনো লঙ্কা ও কালো জিরে
ফোড়ন দিয়ে তাতে চেরা কাঁচা লঙ্কা ও নুন মাখানো
শাপলা থেকে জল ঝরিয়ে দিয়ে
ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। এবারে তাতে নারকেল কোড়া, সর্ষে বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন স্বাদ মতো নুন, হলুদ, সামান্য চিনি দিয়ে কিছুক্ষন ঢেকে রান্না করে নিন। এবার ঢাকা খুলে শাপলা থেকে জল শুকিয়ে গিয়ে
মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন সুস্বাদু শাপলার এই স্বাস্থ্যকর পদ।